আইপিওতে কোটা ব্যবস্থা তুলে দেয়ার পক্ষে অর্থনীতিবিদরাও (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:২৪, ১৪ মার্চ ২০২১
পুঁজিবাজারে পূর্ণপ্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে আইপিওতে কোটা ব্যবস্থা তুলে দেয়ার পক্ষে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি অর্থনীতিবিদরাও। কোটা সুবিধার আওতায় মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান একতরফাভাবে বিপুল মুনাফা করছে বলে অভিযোগ তাদের। তবে কোটা কিছুটা রাখার পক্ষেও মত দিচ্ছেন কেউ কেউ।
আইপিওতে বিদ্যমান নিয়মে বুক বিল্ডিংয়ে ৫০ শতাংশ ও ফিক্সড প্রাইসে ৪০ শতাংশ কোটা সুবিধা ভোগ করছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। এতে প্রতিটি আইপিওতে পাওয়া বিপুল পরিমাণ শেয়ার সেকেন্ডারি মার্কেটে বিক্রি করে বড় অঙ্কের মুনাফা তুলে নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো। এমন প্রেক্ষাপটে প্রাতিষ্ঠানিক কোটা ১০ শতাংশ কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি।
সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বলছেন, পুঁজিবাজারে তাদের অংশগ্রহণ বেশি হলেও কোটার ফাঁদে আইপিও’র সুবিধা ঘরে তুলতে পারছেন না তারা। তাই আইপিওতে লটারির পাশাপাশি কোটা সুবিধাও তুলে দেয়ার পক্ষে তারা।
সাধারণ বিনিয়োগকারী জানান, কোটা না থাকাই উচিত। কারণ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা এমনিতেই বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়ে আসছে।
তবে কোটা পুরোপুরি তুলে দিলে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা আইপিওতে নিরুৎসাহিত হতে পারে; এমন মত দিচ্ছেন বিশ্লেষকদের কেউ কেউ।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দীন (এফসিএ) বলেন, আজকে যদি বড় বিনিয়োগকারীদের কথা বলেন, তাদের অনুপস্থিতির বাজার কিন্তু ভালো কিছু দিবে না। তাদের উপস্থিতি যদি নিশ্চিত করতে হয় তাহলে তাদের জন্য কিছু না কিছু কোটা থাকা উচিত।
১ এপ্রিল থেকে আইপিওতে লটারি প্রথা থাকছে না। তবে কোটা পদ্ধতি বহাল থাকলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা খুব কম পরিমাণে শেয়ার পাবেন বলে মনে করছেন পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবু আহমেদ।
পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, আমি কোন যুক্তি খুঁজে পাই না কোটার পক্ষে। প্রথম থেকেই আমি কোটার বিরুদ্ধের লোক। কোটার অর্থ হচ্ছে কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া কিন্তু সেই সুবিধা নিয়ে তাদের কোন কন্ট্রিবিউশন নেই। এই সুযোগে তারা অর্থ বানাচ্ছে।
শুধুমাত্র কোটার মতো অন্যান্য অগ্রাধিকারমূলক সুবিধার ওপর নির্ভর না করে পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের যৌক্তিক আচরণ বেশি জরুরি বলে মত এই বিশ্লেষকদের।
ভিডিও-
এএইচ/
আরও পড়ুন