৪টি জরিপ টিম নিয়ে মাঠে নেমেছে ভ্যাট গোয়েন্দা
প্রকাশিত : ১৬:৫৬, ২৪ মে ২০২১
এনবিআরের নির্দেশনা অনুযায়ী ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর আজ ৪টি জরিপ টিম গঠন করেছে। এই জরিপ টিম রাজধানী ও রাজধানীর বাইরে বিভিন্ন বিপনীবিতান, শপিংমল, কারখানা ও সেবা প্রতিষ্ঠানে পরিদর্শন করে ভ্যাট সংক্রান্তে তথ্য সংগ্রহ করবে।
সোমবার (২৪ মে) ভ্যাট গোয়েন্দা সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
এই ৪টি টিম আজ ঢাকার চারটি ভ্যাট কমিশনারেট (ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম) এর আওতাধীন গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটে এই জরিপ করছে। এই ৪টি টিমে রয়েছেন- ১. মালেকিন নাসির, সহকারী পরিচালক— টোকিও স্কয়ার, মোহাম্মদপুর। ২. তানভীর আহমেদ, উপপরিচালক— সানরাইজ প্লাজা ও অর্কিড প্লাজা, ধানমন্ডি। ৩. মুনাওয়ার মুরসালিন, সহকারী পরিচালক— নাভানা টাওয়ার, গুলশান-১, অনন্যা মার্কেট- বারিধারা। ৪. মাহিদুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক— হাজী হোসেন প্লাজা, রুপগঞ্জ ব্রিজের আগে।
জরিপ দলের কর্মকর্তারা নির্ধারিত ফর্মে ভ্যাটযোগ্য প্রতিষ্ঠানের তথ্য সংগ্রহ করবে এবং পরে যাচাই করে প্রতিবেদন দেবে।
ভ্যাট সংক্রান্ত এসব তথ্যে সংগ্রহের মধ্যে রয়েছে ভ্যাট নিবন্ধন নম্বর, নিবন্ধন সনদ দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শিত আছে কিনা, বিক্রিত পণ্য বা সেবার প্রকৃতি, টিন, দোকানের আয়তন ও ভাড়া, কর্মচারীর সংখ্যা ও তাদের আনুমানিক বেতন, মাসিক গড়ে বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ, জুলাই ২০২০ থেকে এপ্রিল ২০২১ পর্যন্ত ১০ মাসে ভ্যাট রিটার্ন দিয়েছে কিনা এবং মাসভিত্তিক ভ্যাটের পরিমাণ।
মাঠপর্যায়ের এসব তথ্য সংগ্রহের পর স্থানীয় ভ্যাট অফিস এবং ভ্যাট অনলাইন সিস্টেমের সাথে যাচাই করে প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হবে।
এই সার্ভের মাধ্যমে যারা ভ্যাটের আওতাভুক্ত নেই তাদেরকে আইনের আওতায় উদ্বুদ্ধ করা হবে। একইসাথে, সঠিক পরিমাণ ভ্যাট নিয়মিতভাবে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে নিবন্ধিতদের আইনের বিধান সম্পর্কে অবহিত করা হবে।
এই সার্ভে করার সময় সংশ্লিষ্ট মার্কেট সমিতির সহায়তা নেয়া হচ্ছে।
ভ্যাট আইন অনুসারে ভ্যাটযোগ্য প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট নিবন্ধন নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করা বাধ্যতামূলক। একইসাথে, প্রতিটি পণ্য বা সেবা বিক্রির সময়ে ক্রেতাকে যথাযথভাবে মূসক-৬.৩ এ চালান প্রদান এবং ক্রেতার নিকট থেকে কর্তিত ভ্যাট মাস শেষে ১৫ তারিখের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে রিটার্ন দেয়ার বিধান রয়েছে। এর ব্যত্যয় ঘটলে তদন্তের মাধ্যমে ফাঁকিকৃত ভ্যাট, জরিমানা ও সুদসহ আদায় করা হচ্ছে।
ভ্যাট গোয়েন্দার দল বিভিন্ন সময়ে মাঠে কাজ করছে এবং কোন অভিযোগ আসলে তা অনুসন্ধানপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে। ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের এই কার্যক্রম দেশে ভ্যাট সংক্রান্ত করবান্ধব সংস্কৃতি গড়ে তুলতে সহায়ক হবে মর্মে আশা করা যায়।
এসি
আরও পড়ুন