বিমানের বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারের সি-চেক কার্যক্রম শুরু
প্রকাশিত : ২১:৪৩, ১৭ আগস্ট ২০২১
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৫০ বছর পূর্তি তথা সুবর্ণজয়ন্তী পালনের প্রস্তুতিপর্বের সন্ধিক্ষণে প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সাশ্রয়ী খরচে দেশেই অত্যাধুনিক ড্রিমলাইনারের সি-চেক কার্যক্রমের সূচনা করলো। সি-চেক একটি দীর্ঘমেয়াদী, জটিল এবং উচ্চ কারিগরি দক্ষতা সম্পন্ন চেক যাতে উড়োজাহাজের বিভিন্ন অবকাঠামো উন্মোচনের মাধ্যমে বিশদভাবে নিরীক্ষান্তে উড়োজাহাজকে নভোযোগ্য (airworthy) করা হয়। বোয়িং-৭৮৭ মডেলের ড্রিমলাইনারের সি-চেক প্রতি তিন বছর পর পর সম্পন্ন করতে হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৭ আগস্ট থেকে বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ‘আকাশবীণা’-এর প্রথম সি-চেক কার্যক্রম শুরু করলো বিমান। বিশ্বের খুব স্বল্প সংখ্যক এয়ারলাইন্সেরই বোয়িং-৭৮৭ এর মতো অত্যাধুনিক উড়োজাহাজের সি-চেক করার সক্ষমতা রয়েছে।এটি বিমান ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড মেটেরিয়াল ম্যানেজমেন্ট পরিদপ্তরের সক্ষমতা অর্জনের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক।
এযাবত বিমানের যেকোন ধরনের নতুন উড়োজাহাজের ক্ষেত্রে প্রথম সি-চেক বিদেশি এমআরও (Maintenance, Repair & Overhaul Organization)-এর মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে আসছে। পূর্বে বিদেশি সংস্থা কর্তৃক সি-চেক সম্পন্ন করতে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হতো, এখন থেকে উক্ত সি-চেক সফলভাবে দেশে সম্পন্ন হলে উড়োজাহাজ প্রতি আনুমানিক ৬ লাখ মার্কিন ডলার সাশ্রয় হবে। সি-চেকের জন্য প্রমাপ অর্জিত হওয়ায় বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ অনুমোদন প্রদান করে বিমানকে কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করেছে।
এয়ারলাইন্সটির প্রকৌশলীগণ বিদেশ থেকে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ, কারিগরি জ্ঞান এবং দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে হ্যাঙ্গার কমপ্লেক্সে বিমানের অত্যাধুনিক বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ‘আকাশবীণা’-এর সি-চেক কার্যক্রম শুরু করেন। সি-চেক কার্যক্রম শুরুর প্রাক্কালে বিমানের ব্যবস্হাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল উপস্থিত থেকে সকলকে উৎসাহ প্রদান করেন এবং সাফল্যজনকভাবে কার্যক্রম পরিসমাপ্তির আশাবাদ ব্যক্ত করে সংশ্লিষ্ট সকলকে অগ্রিম অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন।
বর্তমানে বিমান বহরে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন চতুর্থ জেনারেশনের ছয়টি বোয়িং-৭৮৭ (ড্রিমলাইনার) উড়োজাহাজ রয়েছে। যার সবকটিই ইটিওপিএস (Extended-range Twin-engine Operations) মানদণ্ড অনুসারে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। উড়োজাহাজগুলো যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার ন্যায় বিভিন্ন দূরবর্তী গন্তব্যে দক্ষতার সাথে স্বল্প জ্বালানি ব্যয়ে চলাচলে সক্ষম।
কেআই//
আরও পড়ুন