ফ্রি হেলথ ক্যাশব্যাকে ১০ কোটি টাকা সহায়তা দিল ডিজিটাল হসপিটাল
প্রকাশিত : ২১:৩৯, ২০ অক্টোবর ২০২১ | আপডেট: ২২:৩০, ২৫ অক্টোবর ২০২১
ফাইল ছবি
দেশের সকল মানুষের জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা আরও সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী করার লক্ষ্যে কাজ করছে উদ্ভাবনী ডিজিটাল হেলথকেয়ার প্রোভাইডার ডিজিটাল হসপিটাল। চ্যাট, ভয়েস কল ও ভিডিও কলের মাধ্যমে ডাক্তারের পরামর্শ প্রদানের পাশাপাশি, এই প্ল্যাটফর্মে রোগী ও তাদের পরিবারের চিকিৎসা ব্যয়ে আর্থিক সহায়তা দিতে আছে ফ্রি হেলথ ক্যাশব্যাক সুবিধা। এ পর্যন্ত ফ্রি হেলথ ক্যাশব্যাকে ৮ হাজার মানুষকে ১০ কোটিরও বেশি টাকা প্রদান করা হয়েছে।
যাদের সবচেয়ে বেশি সহায়তা প্রয়োজন তাদের বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে, অ্যাপের মাধ্যমে ২৪/৭ সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবা সমাধান প্রদানের মাধ্যমে মানুষকে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে সক্ষম করে তুলতে মা ও শিশুসহ সকলের স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করার মাধ্যমে সমাজে পরিবর্তন আনাই ডিজিটাল হসপিটালের লক্ষ্য। তবে, অনেক মানুষের জন্য চিকিৎসা ব্যয় বহন বেশ দুশ্চিন্তার বিষয়। তাদের কথা বিবেচনায় রেখে ডিজিটাল হসপিটাল ফ্রি হেলথ ক্যাশব্যাক শীর্ষক একটি ফিচার চালু করেছে; এর মাধ্যমে রোগীরা ডিজিটাল হসপিটাল অ্যাপ ব্যবহার করে তাদের চিকিৎসা ব্যয়ের ওপর ক্যাশব্যাক সুবিধা উপভোগ করতে পারেন।
হাসপাতালের বিল, ডায়াগনস্টিক টেস্ট, মাতৃত্বকালীন চিকিৎসা ও কোভিড-১৯ আইসোলেশন থেকে শুরু করে উল্লেখিত যেকোনো ক্যাটাগরির ক্ষেত্রে ডিজিটাল হসপিটাল অ্যাপের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দিয়ে রোগীরা ফ্রি হেলথ ক্যাশব্যাক উপভোগ করতে পারবেন। এ বিষয়ে প্রায় ৭৫ শতাংশ আবেদন অ্যাপের মাধ্যমে ডিজিটালভাবে গ্রহণ করা হয় ও ব্যবস্থা নেয়া হয়। ফ্রি হেলথ ক্যাশব্যাকের পরিসীমা ৪ হাজার টাকা থেকে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত, যা ডিজিটাল হসপিটালের বিভিন্ন প্যাকেজ সাবস্ক্রাইব করার মাধ্যমে রোগীরা উপভোগ করতে পারবেন।
তথ্যমতে, একটি পরিবার গড়ে তাদের আয়ের ৭.৫ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবায় ব্যয় করে এবং এক্ষেত্রে ২০ শতাংশ দরিদ্র পরিবার ব্যয় করে আনুমানিক ১৩.৫ শতাংশ। চিকিৎসার ব্যয়ভার ধনী পরিবারের চেয়ে দরিদ্র পরিবারের ওপর বেশি প্রভাব ফেলে। এ ব্যয় বহন করতে গিয়ে ৫.৮ মিলিয়ন মানুষ অতিদরিদ্রে পরিণত হয় এবং সাধ্যের বাইরে খরচ হওয়ায় অনেক বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদের চিকিৎসা করাতে পারেন না। তাই, চিকিৎসা ব্যয়ে সহায়তা অনেক মানুষের উপকারে আসবে।
রহিমা (ছদ্মনাম) ২০২০ সালের শেষের দিকে গর্ভধারণ করেন এবং বৈশ্বিক মহামারি চলাকালীন সময় ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করে পরামর্শ নেয়া বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তিনি ও তার স্বামী উভয়েই বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েন। সে সময় তিনি ডিজিটাল হসপিটাল থেকে ‘আমি গোল্ড’ প্যাকেজটি কিনেন এবং বাচ্চা হওয়ার পর তিনি মাতৃত্বকালীন খরচের ওপর ফ্রি হেলথ ক্যাশব্যাকের জন্য আবেদন করেন। কিছুদিন পরেই তিনি ক্যাশব্যাক হিসেবে ১৫ হাজার টাকা পান।
ক্যাশব্যাক পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল হসপিটাল থেকে আমার চিকিৎসা ব্যয়ের জন্য পাওয়া এই সহায়তা আমাকে বৈশ্বিক মহামারির এই কঠিন সময়ে অনেক সাহায্য করেছে। ডিজিটাল হসপিটালকে পাশে পেয়ে আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ, এটি আমার মাঝে শক্তি ও সাহস জুগিয়েছে। আমি আমার সকল আত্মীয় ও বন্ধুদেরকেও ডিজিটাল হসপিটালের প্যাকেজ সাবস্ক্রাইব করার পরামর্শ দেব।’
এ সম্পর্কে ডিজিটাল হসপিটালের সিসিও অ্যান্ড্রু স্মিথ বলেন, ‘কাছের মানুষের চিকিৎসা খরচ বহন করতে গিয়ে প্রতি বছর বাংলাদেশের লক্ষাধিক পরিবার দরিদ্রতার শিকার হন। ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ এর আগে কখনোই এত জরুরী ও গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। কাছের মানুষের চিকিৎসা আর দরিদ্রতা – এ দুটির মধ্যে শুধু একটিকে আর কারো বাছাই করতে হবে না। দ্রুত ও নিরাপদ পেমেন্টের জন্য মোবাইল প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল হসপিটাল ইতোমধ্যে আমাদের সদস্যদের স্বাস্থ্যসেবায় ১০ কোটি টাকারও বেশি সহায়তা প্রদান করেছে। আমাদের পার্টনারদের সাথে নিয়ে আমরা বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবাকে আরও সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী করে তুলতে পারবো।’
আরকে//
আরও পড়ুন