ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

সৈয়দপুরে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও কম্পোস্ট প্ল্যান্ট পরিদর্শন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:৩৯, ২১ অক্টোবর ২০২১ | আপডেট: ২০:৫১, ২৫ অক্টোবর ২০২১

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম সম্প্রতি রংপুর বিভাগের নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর পৌরসভার পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা (এফএসএম) ও কম্পোস্ট প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেছেন। সৈয়দপুর পৌরসভার উদ্যোগে নির্মিত দেশের অন্যতম বৃহত্তম এই এফএসএম প্ল্যন্ট নির্মাণে সার্বিক সহায়তা করেছে ওয়াটারএইড এবং বাস্তায়ন করেছে স্থানীয় অংশীদার এসকেএস ফাউন্ডেশন। 

পরিদর্শনকালে মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব জনাব হেলালুদ্দীন আহমেদ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ডিপিএইচই) প্রধান প্রকৌশলী জনাব মোঃ সাইফুর রহমান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী জনাব মোঃ আব্দুর রশীদ খান, ওয়াটারএইড-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান এবং সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়রাফিকা আক্তার জাহানসহ পৌরসভা, ওয়াটারএইড ও এসকেএস ফাউন্ডেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

যৌথভাবে এই মাঠ পরিদর্শনের আয়োজন করে সৈয়দপুর পৌরসভা, এসকেএস ফাউন্ডেশন এবং ওয়াটারএইড বাংলাদেশ। পরিদর্শনকালে পয়ঃবর্জ্য ও রান্নাঘরের বর্জ্য রিসাইকেল করে কিভাবে তা জৈব মাটির কন্ডিশনারে পরিনত হয়ে কার্যকর ব্যবসায়িক মডেলসহ স্যানিটেশন ভ্যালু চেইন পূরণ করছে, সেই প্রক্রিয়াটি মাননীয় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম পর্যবেক্ষণ করেন এবং একটি গাছের চারা রোপন করেন। সৈয়দপুর পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা (এফএসএম) ও কম্পোস্ট প্ল্যান্ট পরিদর্শন কালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সন্তোাষ প্রকাশ করে বলেন ‘এটি একটি যুগোপযোগী উদ্যোগ এবং এ ধরণের প্ল্যান্টের সম্প্রসারণে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে’।  

এই উপলক্ষে ওয়াটারএইড-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান বলেন, ‘ওয়াটারএইড এবং স্থানীয় সহযোগী সংস্থা, এসকেএস ফাউন্ডেশনের যৌথ অংশীদারিত্বে এবং পৌরসভার সহযোগিতায় পরিচালিত সৈয়দপুর এফএসএম প্ল্যন্ট হলো একটি মডেল প্ল্যান্ট যার মাধ্যমে বোঝা যায় পৌরসভাগুলো কিভাবে সবার জন্য পর্যাপ্ত স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে এসডিজি ৬.২.১ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’ উল্লেখ্য, টাঙ্গাইলের সখীপুর পৌরসভায় তৈরিকৃত একই ধরণের একটি এফএসএম প্ল্যান্টকে জাতীয় ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় অনুকরণীয় মডেল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। জনাব হাসিন জাহান উল্লেখ করেন যে, ইতোমধ্যে ডিপিএইচই সারাদেশে একই মডেলের প্ল্যান্ট নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়। হাসিনা জাহান আরও বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করছি, নিরাপদ স্যানিটেশন সেবা নিশ্চিতে পৌরসভাগুলোকে এফএসএম প্ল্যান্টের পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এলজিআরডি মন্ত্রনালয় ও ডিপিএইচই সহায়তা করবে।’

ওয়াটারএইড বাংলাদেশ-এর সহায়তায় এসকেএস ফাউন্ডেশন ও সৈয়দপুর পৌরসভার যৌথ নের্তৃত্ব ও ব্যবস্থাপনার পরিচালনাধীন দেশের অন্যতম বৃহৎ সৈয়দপুর পয়ঃবর্জ্য ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট পরিদর্শনকালে মন্ত্রী মহোদয়কে স্বাগত জানান সৈয়দপুর পৌর-মেয়র রাফিকা আখতার জাহান, ওয়াটারএইড বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান ও এসকেএস ফাউন্ডেশন-এর উপ-নির্বাহী প্রধান ড. ইমরুল কায়েস মনিরুজ্জামান। পরর্দিশনকালে আরোও উপস্থতি ছিলেন নীলফামারী-৪ আসনের এমপি আহসান আদিলুর রহমান, নীলফামারী জেলা প্রসাশক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী, নীলফামারী জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান, সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোকসেদুল মোমিন, সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামিম হোসেন এবং এসকেএস ফাউন্ডেশেন ও ওয়াটারএইড বাংলাদেশ-এর অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ আরও অনেকে।

উল্লেখ্য, ওয়াটারএইড বাংলাদেশ টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর পৌরসভার সাথেও কাজ করছে এবং স্থানীয়ভাবে মাটির কন্ডিশনার হিসেবে কম্পোস্ট ব্যবহার করার জন্য একই ধরনের এফএসএম প্ল্যান্ট চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে। 

আরকে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি