ঢাকা, মঙ্গলবার   ১১ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

চীনে রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশের তৈরি ঝুটের সুতা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:০৬, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২

Ekushey Television Ltd.

পোশাক শিল্পের অব্যবহৃত টুকরা কাপড় বা ঝুট দিয়ে সুতার তৈরির বড় সম্ভাবনা দেখছেন উদ্যোক্তারা। সরকারি সহায়তা পেলে ঝুটের সুতা রপ্তানির মাধ্যমে বিলিয়ন ডলার আয় করাও সম্ভব বলেছেন তারা। ইতিমধ্যেই ঝুট-সুতার কয়েকটি কারখানা গড়ে উঠেছে। স্বল্প পরিসরে শুরু হয়েছে রপ্তানিও। 

গাজীপুরের কাশিমপুরে গড়ে উঠেছে চীন-বাংলাদেশ যৌথ মালিকানায় একটি কারখানা। এখানে ঝুট থেকে তৈরি হচ্ছে সুতা। রপ্তানি হচ্ছে চীনে। স্থানীয় উৎস থেকেই মিলছে কাঁচামাল বা ঝুটের যোগান। আমদানি ব্যয় নেই।  

প্রথমে পোশাক কারখানার উচ্ছিষ্ট ঝুট সংগ্রহ করা হয়। তারপর রঙ অনুযায়ী করা হয় বাছাই। এরপর ঝুটকে যন্ত্রের সাহায্যে তুলার মতো আঁশ জাতীয় পণ্যে পরিণত করা হয়। সেই আঁশ বিভিন্ন ধাপে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে তৈরি হয় সুতা।  

হুয়াজিন টেক্সটাইলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর ইকবাল বলেন, “ঝুট-সুতা তৈরির প্রক্রিয়া পানি বা বায়ু দূষণ করে না। বিশ্বজুড়ে এ সুতার পোশাকের রয়েছে বাড়তি চাহিদাও।”  

বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউজ এসোসিয়েশন সভাপতি কাজী ইফতেখার হোসেন জানান, সাধারণত কারখানায় পোশাক তৈরির সময় গড়ে ১৫ শতাংশ কাপড় অপচয় হয়। যা ঝুট হিসেবে বছরে জমে ৪ লাখ টনের বেশি। যার বেশিভাগই সস্তায় সরাসরি রপ্তানি হচ্ছে। তবে ঝুটের রিসাইকেল শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব হলে বিপুল অংকের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ দেখছেন অর্থনীতিবিদ ও উদ্যোক্তারা।

সিপিডি’র গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, দেশীয় উৎসের কাঁচামাল বা ঝুট ইয়ার্ন থেকে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে মূল্যসংযোজনের হার প্রায় শতভাগ। 

আরকে


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি