ঢাকা, সোমবার   ০৭ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ভিভো’র উন্নয়ন ও গবেষণা চলছে বিশ্বের ১০টি কেন্দ্রে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:২০, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | আপডেট: ২১:২৯, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২

Ekushey Television Ltd.

আলট্রা ওয়াইড এঙ্গেল ক্যামেরা, টেলিফটো ক্যামেরা কিংবা টাইম অব ফ্লাইট (টিওএফ) ক্যামেরা । প্রযুক্তিগুলোর মধ্যে একটি সাধারণ বিষয় রয়েছে; যা হলো বিল্ডিং ব্লকস, যা স্মার্টফোনের ইমেজিং মডিউল তৈরি করে। এমনকি একটি দারুণ ইমেজিং সিস্টেমের হার্ডওয়্যার গঠন তৈরি করতেও এই বিল্ডিং ব্লকস কাজ করে। 

স্মার্টফোনের ক্যামেরা প্রযুক্তি বা ইমেজিং সিস্টেমের এই উপাদানগুলোকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় বহুজাতিক স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভো। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই স্মার্টফোন ইমেজিং নিয়ে গবেষণা চলছে ভিভো’র ১০টি উন্নয়ন ও গবেষণা কেন্দ্রে। এই গবেষণা কেন্দ্রগুলোর মধ্যে ৯টি চীনের শেনজেং, ডংগুয়াং, নেনজিং, বেইজিং, শাংহাই, হাংজহোউ, শিআং, তাইপেই, শেন ডিয়েগো’তে এবং একটি জাপানের টোকিওতে অবস্থিত। 

টোকিও’র এই কেন্দ্রটি ২০১৯ সালে স্থাপন করা হয়, যার প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিলো দুই বছর ধরে আগাম গবেষণা করা এবং স্মার্টফোন উন্নয়নের উপযোগী প্রযুক্তি নিয়ে আসা। যাতে দু’বছর পর এই উদ্ভাবনগুলো বাজারে আনা যায়। 

আগাম গবেষণার জন্য কেনো দু’বছর সময় লাগবে, আর চীনের বাইরে টোকিওতেই কেনো স্থাপন করা হলো এই কেন্দ্র? উত্তর জানতে, ভিভো’র ২০১৭ সালের ইতিহাসে ফেরত যেতে হবে আমাদের। ওই বছর নতুন এবং পুরনো সব ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে তুমুল প্রতিযোগিতা হয়েছিলো। স্মার্টফোনের বাজার বেড়েছিলো হুড়হুড় করে । 

শুরুর দিকে স্মার্টফোন ইন্ডাস্ট্রি মার্কেটিং ভিত্তিক হলেও পরে সেটা হয়ে যায় উদ্ভাবনীমূলক। অর্থাৎ মার্কেট ধরে রাখতে হলে, নতুন নতুন উদ্ভাবন নিয়ে আসতে হবে। সেই থেকে ম্যানুফেকচারিং সেক্টরটি ধীরে ধীরে উন্নয়ন ও গবেষণার দিকে ধাবিত হতে থাকে। ওই বছরই ভিভোও উন্নয়ন ও গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করে আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়। 

টোকিওতে কেন্দ্র স্থাপনে ভিভো’র উদ্দেশ্য ছিলো, সারা বিশ্বের প্রযুক্তি উপাদান বা সম্পদগুলোকে যথাযথভাবে ব্যবহার করা। টোকিও গবেষণা কেন্দ্রটি এখন আরো নির্দিষ্টভাবে বিশেষ ক্যামেরা ফিচার তৈরিতে কাজ করছে। যেমন; ক্যামেরা থেকে এখন কার ক্যামেরা, স্পোর্টস ক্যামেরা এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্যামেরা নিয়ে কাজ করছে ভিভো। ভিভো’র এই প্রযুক্তিগুলো এখনো বিশ্বের সব বাজারে ছড়িয়ে পড়েনি । তবে, ভিভো’র সিগনেচার প্রযুক্তি গিম্বল ক্যামেরার মতো প্রযুক্তিগুলো ছড়িয়ে পড়লে তা সাড়া ফেলবেই। 

ভিভো’র ব্যবসায়িক মূলমন্ত্রই হলো গ্রাহক চাহিদা পূরণ। গ্রাহক চাহিদা নিয়ে ভিভো’র অনুসন্ধানের ফলস্বরূপই বাজারে এসেছে গিম্বল ক্যামেরা, ভি১ ইমেজিং চীপের মতো প্রযুক্তিগুলো। ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি এবং গ্রাহকদের আগ্রহ, পছন্দ নিয়ে গবেষণা করে থাকে ভিভো’র রিসার্চ টিম। এরপর এই রিসার্চ ফলাফল দেয়া হয় টোকিও টিমকে। 

ইমেজিং সিস্টেম ছাড়াও ৫জি নেটওয়ার্ক, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইনসহ ভবিষ্যৎ নানা প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা চলছে এসব গবেষণা কেন্দ্রে। সম্প্রতি, টোকিও’র গবেষণা কেন্দ্রটি জাপানের বিশেষজ্ঞদের প্রদর্শন করে ভিভো। 

এই কেন্দ্রটির প্রধান বিশেষজ্ঞ মাসাজুমি বলেন, ‘মোবাইল ইমেজিং নিয়ে ১০০ বছরেরও বেশি সময়ের ইতিহাস রয়েছে জাপানের। মোবাইল ইমেজিংয়ের উন্নতির মাধ্যমে বিভিন্ন রূপান্তরও ঘটিয়েছে জাপানের গবেষকরা। নিয়ে এসেছে ফিল্ম ইমেজিং থেকে ডিজিটাল ইমেজিংয়ের জগতে ।  

আরকে//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি