ঢাকা, সোমবার   ০৭ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

প্রবাসী আয়ের ১৩তম উৎস দক্ষিণ কোরিয়া (ভিডিও)

সাইফ ইসলাম দিলাল

প্রকাশিত : ১৩:৩৬, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | আপডেট: ১৩:৩৭, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২

Ekushey Television Ltd.

দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতির চালিকাশক্তি শিল্প ও সেবা খাত। যেখানে কাজ করছেন বিশ্বের প্রায় ১৫ লাখ কর্মী। যার বেশিরভাগই চীনা নাগরিক। বাংলাদেশের ১৩তম প্রবাসী আয়ের উৎস কোরিয়াতে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার বাংলাদেশি রয়েছেন। যাদের মাধ্যমে দেশে বছরে আসছে প্রায় ২০ কোটি মার্কিন ডলার। তবে সুযোগ রয়েছে আয় কয়েকগুণ বাড়ানোর।

বিশ্বের ১০তম শীর্ষ অর্থনীতির দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। যার জিডিপির আকার ১ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলার। প্রায় ৩৫ হাজার মার্কিন ডলারের মাথাপিছু আয়ের দেশটিতে জনসংখ্যা ৫ কোটি ১৫ লাখ।

দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতি দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে প্রধানত দুটি খাতের ওপর ভর করে। শিল্প ও সেবা। যার সাথে প্রযুক্তির উৎকর্ষতা দেশটির অর্থনীতি ও বৈশ্বিক বাণিজ্যকে করেছে সমৃদ্ধ। কোরিয়ার জিডিপিতে ৫৮ শতাংশের বেশি সেবা ও ৩৮ শতাংশের ওপরে শিল্পের অবদান। ২ দশমিক ২ শতাংশ নিয়ে কৃষি তৃতীয় স্থানে।

দক্ষিণ কোরিয়ার কোনকো ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘যে যেভাবে কোরিয়াতে আগমন করেন না কেন আমি মনে করি, হার্ড ওয়ার্কের বিকল্প কিছু নেই।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার কৃষিতে বাংলাদেশি কর্মীদের সুযোগ অনেক। তবে প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ ও দক্ষ কর্মী তৈরি করা গেলে দেশটির শ্রমবাজারে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বাড়তে পারে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, ‘সাউথ কোরিয়া লিডিং কান্ট্রি। আইটি, কম্পিউটার পার্টস বা হাই স্কিল কানেক্টিভিটি- সব কিছুতেই কোরিয়া এখন লিডারশীপ দিচ্ছে। তাদের গ্রোথটাও ভেরি হাই এবং তাদের ইনকামও ইউরোপের দেশের তুলনায় বেশি।’

এদিকে, শ্রমিক বা কর্মী পর্যায়ের সম্ভাবনার বাইরে পেশাজীবী পাঠিয়েও কোরিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। যেমনটি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত করছে কোরিয়াসহ বিশ্বজুড়ে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের সাবেক প্রথম সচিব (শ্রম) মো. জাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘এমপ্লয় মার্কেটের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে ওখানে চাকরি নেওয়া, পড়াশুনা করা, প্রতিষ্ঠিত হওয়ারও সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। সেটা দিন দিন আরও বাড়ছে।’

দক্ষিণ কোরিয়ায় কাজ করা বিদেশি কর্মীদের মধ্যে ৭০ ভাগের বেশি চীনা নাগরিক। এছাড়া আরও ১৫টি দেশ থেকে এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেমস বা ইপিএসের আওতায় কর্মী নিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোরিয়ান ভাষা বিভাগের প্রভাষক শিউলি ফাতেহা বলেন, ‘কোরিয়াতে গিয়ে আমাদের প্রফেশনাল শ্রমিক-স্টুডেন্টরা সবাই আরও দক্ষ হয়ে নিজেদেরকে যোগ্যতম আসনে নিয়ে যেতে পারছেন।’

গেল অর্থবছরে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে বাংলাদেশ রেমিট্যান্স পেয়েছে ২০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি। জনশক্তি রপ্তানির বিদ্যমান সম্ভাবনা কাজে লাগানো গেলে দেশটি থেকে আসতে পারে বিপুল পরিমাণ প্রবাসী আয়।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি