আস্থার সংকটে দেশের বীমা খাত (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:৩৫, ১ মার্চ ২০২২ | আপডেট: ১১:৪৪, ১ মার্চ ২০২২
স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরও আস্থার সংকটে ঘুরপাক খাচ্ছে দেশের বীমা খাত। যদিও অগ্রসরমান অর্থনীতি ও জনবহুল দেশ হওয়ায় বাংলাদেশের বীমা খাতের রয়েছে অপার সম্ভাবনা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বীমা খাতকে পূর্ণাঙ্গ অটোমেশনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে। এটা সম্ভব হলে গ্রাহকরা পাবেন কাঙ্খিত সেবা; থাকবে না প্রতারণাও। বীমার প্রতি আগ্রহী হবে সাধারণ মানুষ।
দেশে বীমা কোম্পানির অভাব নেই। এই খাতের প্রতি আস্থার সংকটও বেশ প্রকট। তবে নানামুখী সংস্কার ও প্রযুক্তির কল্যাণে পরিবর্তন আসছে বীমা খাতে। খাতটির প্রতি মানুষের আস্থা বাড়াতে নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ।
এদিকে, বাংলাদেশে বর্তমানে ৩৫টি জীবন বীমা ও ৪৬টি সাধারণ বীমা কোম্পানি কাজ করছে। কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বের ৪০তম হলেও, বীমা শিল্পে অবস্থান ৬৮তম। দেশে মাথাপিছু গড় বীমা-ব্যয় মাত্র ৯ মার্কিন ডলার। জিডিপি অনুপাতে বীমা প্রিমিয়াম শূন্য দশমিক ৫ শতাংশেরও কম। অথচ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এই হার ৪ শতাংশ।
বীমা খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘদিনের অবহেলা, যুগোপযোগী আইনের অভাব এবং অনেক ক্ষেত্রে কোম্পাানি বা এজেন্টের প্রতারণার কারণে বীমার ওপর মানুষের একটা নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছিল। যা কাটতে শুরু করেছে।
এ প্রসঙ্গে আইডিআরএ সদস্য মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘যখনই কোন কোম্পানী সঠিক সময়ে বীমা দাবী পরিশোধ না করে, তখনই কিন্তু এটার একটা ব্যাপক প্রভাব পড়ে।’’
একই প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন বলেন, ‘‘এখন দেখবেন কোন কোন বীমা কোম্পানী ৭ দিনের মধ্যেই বীমা দাবী পরিশোধ করে দিচ্ছে। এবং কিছু কিছু বীমা কোম্পানী পুরোপুরি ডিজিটালাইজ হয়ে গেছে, তাদের অর্থ সবসময় ব্যাংক বা অনলাইনে পরিশোধ হয়। এজন্য একটু সময়ের প্রয়োজন।’’
সম্প্রতি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সার্বিক অটোমেশনের জন্য ৬৩২ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি সব বীমা কোম্পানিকে অটোমেশনের আওতায় আনতে পারলে এখাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সম্ভব বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বীমার সাথে জড়িয়ে আছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম। ১৯৬০ সালে পহেলা মার্চ তৎকালীন আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগদান করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তারই স্মরণে দিনটি জাতীয় বীমা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
এমএম/
আরও পড়ুন