ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪

অসুস্থ প্রতিযোগিতা এলপিজি ব্যবসায় (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩৬, ৫ মার্চ ২০২২ | আপডেট: ১২:৪৭, ৫ মার্চ ২০২২

তৌহিদুর রহমান
এলপিজি ব্যবসায় ঝুঁকেছে দেশের অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। ইতিমধ্যেই বিনিয়োগ ছাড়িয়েছে কমপক্ষে ৩২ হাজার কোটি টাকা। তবে আছে কিছু অসুস্থ প্রতিযোগিতা। ক্ষেত্রে বিশেষে গ্যাস ও সিলিন্ডারের মান নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

নতুন গ্যাস ক্ষেত্রের সন্ধান না মিললে ২০৪১ সালে প্রায় শেষ হয়ে যাবে প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ। আর এলএনজির ওপর একক নির্ভরতা কতটুকু টেকসই হবে তা নিয়েও থাকছে নানা প্রশ্ন আর বিশ্লেষণের সুযোগ।

তবে গৃহস্থালী, যানবাহন ও শিল্পখাতে গ্যাসের চাহিদা যে দিন দিন বাড়বে তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। গবেষণা বলছে, বর্ধনশীল চাহিদা পূরণে ২০৩০ সাল নাগাদ দেশে শুধু লিকুফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজির প্রয়োজন হবে ৩৫ লাখ মেট্রিক টন। আর ৭০ লাখ মেট্রিক টন চাহিদা তৈরি হতে পারে ২০৪১ সালে। 

এমন বাস্তবতায় এলপি গ্যাসে বিনিয়োগে ঝুঁকছেন ব্যবসায়ীরা। বিনিয়োগ ছাড়িয়েছে কমপক্ষে ৩২ হাজার কোটি টাকা। তবে সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ায় খাতটিতে তৈরি হয়েছে অসুস্থ্য প্রতিযোগিতা। 

বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের হেড অব সেলস জাকারিয়া জালাল বলেন, “সাবসিডি দিয়ে কম দামে কাস্টমারকে দিচ্ছেন, আরেকজন কাস্টমারের কানেকশন নেই তাকে বেশি দাম দিয়ে এলপিজি ব্যবহার করতে হচ্ছে। এটা তো বৈষাম্য। এই বৈষাম্য দূর করতে হবে।”

বেক্সিমকো এলপিজি হেড অব মার্কেটিং মেহেদী হাসান বলেন, “অসুস্থ্য ব্যবসা যেটা বলে বাংলাদেশে। একটা প্রতিযোগিতামূলক বাজার তৈরি হতে গেলে অসুস্থ্য প্রতিযোগিতা শুরু হয়। যেটা আমাদের মধ্যে এই মুহূর্তে বিরাজমান করছে। ভারত, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এসব দেশে দুই থেকে তিনটা বেশি হলে চারটি কোম্পানি রয়েছে। অথচ আমাদের ছোট্ট একটা দেশে ইতিমধ্যে ২৯টি কোম্পানি অপারেট করছে।”

এলপি গ্যাস আমদানি, সংরক্ষণসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বড় বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়। বিদেশি বিনিয়োগকারীদেরও এখাতের দিকে নজর রয়েছে। তাই এলপিজি খাতে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা নিশ্চিতের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।

জ্বালানি বিশ্লেষক অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেন, “বাজার তৈরিটা হল কিন্তু বাজারটা বেদখল হয়ে যেতে পারে। কারণ যেখানে ভারত ৯শ’ টাকায় ১২ কেজির এলপিজি সরবরাহ করতে পারে সেখানে আমাদের সরবরাহকারীরা ১১শ’ টাকা নিলেও পারে না। তার মানে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি।”

ইতিমধ্যেই ৫৬টি কোম্পানি এলপিজি বিক্রির অনুমোদন পেয়েছে। যার মধ্যে ২৯টি বাজারে সক্রিয়। আর ২০টি কোম্পানি সরাসরি এলপি গ্যাস আমদানি করছে।

বিপিসি চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ বলেন, “১৫ লাখ টনের চাহিদাটা পূরণ করার জন্য আমাদের অনেকগুলো ইনফ্রাস্টাকচারাল সুবিধা থাকা দরকার। দিন শেষে দাম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।”

২০৪১ সাল নাগাদ শহরে এলপিজির চাহিদা বাড়বে প্রায় ৩৪ লাখ টন, গ্রামীণ জনপদে চাহিদা তৈরি হবে ২২ লাখ টন। আর এ সময়ে যানবাহনে অটো গ্যাসের চাহিদা উন্নীত হতে পারে ১৪ লাখ টনে। 

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি