ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

ডিসিসিআই-এর কর্পোরেট কর হার কমানোর প্রস্তাব (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:৪২, ৯ মার্চ ২০২২ | আপডেট: ২১:৫৭, ৯ মার্চ ২০২২

কোভিড পরবর্তী সময়ে ব্যবসা-বাণিজ্য গতিশীল করার স্বার্থে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে কর্পোরেট করহার ২ দশমিক ৫ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।

বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবনন্থ সভাকক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত বাজেট আলোচনায় ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান এসব প্রস্তাব তুলে ধরেন। সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম সভাপতিত্ব করেন। 

 

রিজওয়ান রাহমান কর্পোরেট করহার লিস্টেড ও নন-লিস্টেড কোম্পানীর ক্ষেত্রে ২ দশমিক শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করেন, যেটি বর্তমানে রয়েছে যথাক্রমে ২২ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ৩০ শতাংশ। এছাড়াও কর্পোরেট ডিভিডেন্ডের আয়ের উপর বিদ্যমান ২০ শতাংশ করের পরিবর্তে ১০ শতাংশ কর নির্ধারণের দাবি করেন তিনি। বলেন, এর ফলে স্থানীয় উদ্যোক্তারা পুণঃবিনিয়োগে উৎসাহিত হবে এবং পুঁজিবাজারকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

ডিসিসিআই সভাপতি ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির কারণে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সাথে সঙ্গতি রেখে ব্যক্তিখাতে করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেন। একইসাথে তিনি কর ও শুল্ক ব্যবস্থাকে অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। 

রিজওয়ান রাহমান ভ্যাটের আওতা বর্হিভূত ব্যবসায়ের বার্ষিক টার্নওভারে ঊর্ধ্বসীমা ৩ কোটি টাকা হতে বাড়িয়ে ৪ কোটি টাকা নির্ধারনের প্রস্তাব করেন, সেই সাথে পণ্যের মূল্য সংযোজন অথবা মুনাফা অনুপাতে টার্নওভারের উপর ট্যাক্স আরোপের দাবি জানান।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অনেক ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রাপ্ত সুবিধা হতে বঞ্চিত হবে। তাই সরকার প্রদত্ত বাণিজ্য বিষয়ক সুবিধাদি কাজে লাগিয়ে দেশীয় উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, দেশের করদাতার যেন সহজেই কর দিতে পারে, সেজন্য কর প্রদান প্রক্রিয়া সহজ ও করজাল সম্প্রসারণে এনবিআর কাজ করছে, সেই সাথে দেশে একটি ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে আন্তরিকভাবে কাজ করে চলেছে। তিনি উল্লেখ করেন, গত ২ বছরে করের হার বেশ কমানো হয়েছে, যার মাধ্যমে দেশে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বেড়েছে। 

এনবিআরের বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ারুল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, গ্রস প্রফিটের (জিপি) খাতভিত্তিকভাবে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে যা যুক্তি সংগত নয়। আবার জিপি কমে গেলে অথবা ব্যবসায় ক্ষতি হলে বিবেচনায় নেওয়া হয় না। এমনকি পূর্ববর্তি বছরের তুলনায় বিক্রয় কম হলেও কর কর্তৃপক্ষ বিবেচনায় নিতে রাজি হয় না, এটি বন্ধ করার প্রয়োজন। তিনি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মূলধনী যন্ত্রের উপর আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেন।

এসি
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি