বাধ্যতামূলকভাবে যোগ দেওয়া কিছু রুশ সেনা ইউক্রেনে আটক
প্রকাশিত : ২৩:৫১, ৯ মার্চ ২০২২
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় স্বীকার করেছে যে বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ানো কিছু সৈন্য ইউক্রেনে রুশ অভিযানে অংশ নিচ্ছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন ইউক্রেনের হাতে আটকও হয়েছে। বুধবার (৯ মার্চ) বিবিসির খবরে এ তথ্য উঠে এসেছে।
রাশিয়াতে ১৮-২৭ বছর বয়সের সব পুরুষকেই এক বছরের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম আছে।
মাত্র একদিন আগেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এধরনের সৈন্যদের যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানোর কথা অস্বীকার করে বলেছিলেন, শুধু পেশাদার সৈন্যরাই ইউক্রেনে অভিযানে অংশ নিচ্ছে।
তবে বুধবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় স্বীকার করে যে এরকম কিছু সৈন্য ইউক্রেনীয় বাহিনীর হাতে বন্দী হয়েছে। এর পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে এধরনের প্রায় সব সৈন্যকেই প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এ সামরিক অভিযান চালানোর পেছনে অন্যতম একটি কারণ ছিল ইউক্রেনের ন্যাটোতে যুক্ত না হওয়া।
এদিকে সোমবার (৭ মার্চ) মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আর চাপ দিচ্ছে না কিয়েভ।
এ সময় ইউক্রেনে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদী দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আপস করতে আপাতত রাজি হয়েছেন বলেও তিনি জানান।
জেলেনস্কি বলেন, আমি বেশ আগে থেকেই এ বিষয়ে চুপ হয়ে গেছি। কারণ আমরা বুঝতে পেরেছিলাম ন্যাটো ইউক্রেনকে গ্রহণ করতে রাজি নয়। ন্যাটো বিতর্কিত বিষয় ও রাশিয়ার মুখোমুখি হতে ভয় পায়।
রাশিয়ার দাবিগুলো সম্পর্কে প্রশ্ন করলে জেলেনস্কি জানান, তিনি উন্মুক্ত আলোচনার জন্য প্রস্তুত।
এ সময় ন্যাটোর সদস্যপদের কথা উল্লেখ করে জেলেনস্কি বলেন, তিনি এমন কোনো প্রেসিডেন্ট হতে চান না, যাকে হাঁটু গেড়ে অন্যের কাছে কিছু ভিক্ষা চাইতে হয়।
কেআই//
আরও পড়ুন