ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

সরকার সয়াবিন কিনবে এক কোটি ৭১ লাখ লিটার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:১৪, ১০ মার্চ ২০২২

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে আসন্ন রমজান মাসে দ্রব্যমূল্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ছোলা, ডাল, চিনি এবং সয়াবিন তেল ক্রয় করবে সরকার।

বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ- টিসিবির জন্য এই চারটি পণ্যের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।

মন্ত্রিসভার এ বৈঠকে এক কোটি ৭১ লাখ ১৫ হাজার ৬৫২ লিটার সয়াবিন তেল, ১৪ হাজার টন চিনি, ১০ হাজার টন ছোলা, ১৯ হাজার ৫০০ টন মশুর ডাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন পায়।

বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘টিসিবি আমাদের অর্থনীতির একটি ব্যাকবোন। পণ্যের উৎপাদন যেমন দরকার, তেমনিভাবে সময়মতো ভোক্তাদের কাছে পণ্য পৌঁছে দিতে হয়। পৃথিবীতে এখন জিনিসপত্রের অভাবে বিপদ ঘটে না। বিপদ ঘটে সময়মতো পণ্য সরবরাহ করতে না পারলে। সেজন্য টিসিবির রোলটা এখন গুরুত্বপূর্ণ। এর ক্যাপাসিটি আরও বাড়ানো হচ্ছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারি এ বিপণন সংস্থার মাধ্যমে আরও বেশি মানুষকে সুবিধা দেওয়া হবে। প্রতিটি ইউনিয়নে আমরা টিসিবিকে নিয়ে যাব। এবার রোজায় এক কোটি পরিবারের কাছে টিসিবির পণ্য পৌঁছে দিতে চাই।

মুস্তফা কামাল জানান, জিনিসের দাম যাতে সহনীয় থাকে, সে জন্য আজকে যেসব আইটেমের ওপর ভ্যাট ছিল সেগুলো তুলে নিয়েছি। সরকার থেকে যে পরিমাণ সহযোগিতা করা দরকার সেটা করা হচ্ছে। ভোজ্যতেল, চিনি ও ছোলায় ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, নিজস্ব উৎপাদন কম হলে জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আবার যে জিনিসগুলো আমদানি করি, যেগুলো আমাদের হাতের বাইরে, সেগুলো অনেক প্যারামিটারের কারণে দাম বেড়ে যায়। তখনও ক্রেতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এখন যুদ্ধ যেটা হচ্ছে, সেটাও মূল্য বৃদ্ধির একটা কারণ। এলসি প্রাইস, পরিবহন খরচ- এগুলো বেড়ে যায়। যারা আমদানি করেন তারাও সুযোগটা নেওয়ার চেষ্টা করেন, সে কারণে আরও বেশি দাম বাড়ে।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, মেঘনা ভোজ্যতেল শোধনাগার লিমিটেড, সুপার অয়েল রিফাইন্ড লিমিটেড, সেনা ভোজ্যতেল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড, বসুন্ধরা মাল্টি ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড এবং শুন শিং এডিবল অয়েল লিমিটেডের কাছ থেকে মোট এক কোটি ৭১ লাখ ১৫ হাজার ৬৫২ লিটার সয়াবিন তেল কেনা হবে। মোট ২৮৭ কোটি ৫৪ লাখ ২৯ হাজার ৫৩৬ টাকায় এটি সরাসরি ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী আরও জানান, মেঘনা সুগার রিফাইনারি থেকে ৫৫ কোটি ৩০ লাখ টাকায় সাত হাজার টন চিনি এবং একই দামে সিটি সুগার ইন্ড্রাস্ট্রিজ থেকে সমপরিমাণ চিনি কেনার অনুমোদন হয়।

অর্থাৎ ১১০ কোটি ৬০ লাখ টাকায় মোট ১৪ হাজার টন চিনির ক্রয়াদেশে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে ভ্যাট এবং ট্যাক্সসহ প্রতিকেজির দাম পড়ছে ৭৯ টাকা।

এসি
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি