ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪

জনশক্তির বোনাসকালে বাংলাদেশ (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০৩, ১১ মার্চ ২০২২ | আপডেট: ১২:০৪, ১১ মার্চ ২০২২

দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, চিন ও জাপান দীর্ঘ দিনে সুযোগ পেয়েছিল মাত্র একবার। বাংলাদেশে এখন সেই মাহেন্দ্রক্ষণ অর্থাৎ অথনৈতিকভাবে উপরে ওঠার সময় এসেছে। কারণ ৬৫ শতাংশ কর্মক্ষম জনশক্তির বাংলাদেশে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট বা জনসংখ্যাতাত্ত্বিক সুবিধা বিদ্যমান। এটি থাকবে ২০৪০ সাল পর্যন্ত। 

দেশের কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা যখন নির্ভরশীল জনসংখ্যাকে ছাড়িয়ে যায় তখন ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট বা জনশক্তির বোনাসকাল সুবিধা আসে।
যখন এমন সুবিধা আসে যখন তা কাজে লাগিয়ে দেশকে পৌঁছে দেয়া যায় অনন্য উচ্চতায়। এমন মাহেন্দ্রক্ষণে কর্মক্ষম জনসংখ্যা বাড়ে আর নির্ভরশীল জনসংখ্যা তুলনামূলক কমে যায়। তখন ১৫ থেকে ৬৪ বছরের জনগোষ্ঠীর সংখ্যাধিক্য কাজে লাগায় রাষ্ট্র। 

জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল বলছে, বাংলাদেশ ২০১২ সাল থেকে কর্মক্ষম মানুষের সুবিধা স্পষ্ট হয়েছে।  পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে মোট কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা ১০ কোটি ৯১ লক্ষ। এরমধ্যে নিয়মিত কাজের মধ্যে আছে ৬ কোটি ৮ লক্ষ মানুষ।

ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট কীভাবে কাজে লাগানো যায় তা নিয়ে কথা বলেছেন কাজী খলীকুজ্জামান আহমেদ। 

তিনি বলেন, ‘‘এই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে হলে বিশেষ করে তরুণ যারা, তাদেরতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হয় এবং কাজের সুযোগ করে দিতে হয়। একজন উদ্যোক্তা হবে, এজন্য তার যে সুযোগ সুবিধা দরকার সেগুলো যদি সৃষ্টি করা যায়, তার মানে তার প্রশিক্ষণ লাগবে, তার অর্থ লাগবে, তার বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা লাগবে- এগুলো যদি করা যায়, তাহলে সে এগিয়ে যেতে পরবে।’’

জনশক্তির বোনাসকাল কতটুকু কাজে লাগাতে পারে তা নির্ভর করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির ওপর। জনসংখ্যার এ সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলে একসময় বেকার ও বৃদ্ধ বৃদ্ধার সংখ্যা বেড়ে বোঝায় পরিনত হতে পারে বলে মনে করেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবী। 

তিনি বলেন, ‘‘এই মানুষগুলোকে যদি আমরা দক্ষ মানুষে পরিণত করতে না পারি তাহলে আমাদের মাথাপিছু আয় আবার কমে যাবে। এই স্বাস্থ্য-শিক্ষা-বাসস্থান সবগুলো সেক্টরের মধ্যে দাড়িদ্রতা বেড়ে যাবে।’’

ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট সুবিধা নিয়ে চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ অনেক দেশ কর্মক্ষম বিশাল জনগোষ্ঠী তৈরীতে সক্ষম হয়েছে। যার ফলে শীর্ষ অর্থনীতির দেশে এরা পরিনত হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া ১৯৬০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত লাগাতারভাবে এ সুবিধা ভোগ করেছে। জাপান ১৯৫০ থেকে ১৯৯০ সাল অব্দি এ সুবিধা ভোগ করে। 

ড. এ কে এম নূর-উন-নবী আরও বলেন, ‘‘পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ- চায়না, কোরিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, পাশ্চাত্যরা তো আরও আগে করেছে। সেই প্রত্যেকটা দেশই কিন্তু এই সুযোগটার সর্বোচ্চ ব্যবহার করেছে।’’

জনশক্তির বোনাসকাল আমাদের দেশে থাকবে ২০৪০ পর্যন্ত। এরপর উৎপাদনশীল কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা কমবে। পক্ষান্তরে বাড়বে বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা।

এমএম/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি