ঢাকা রিজেন্সী হোটেলের বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকির মামলা
প্রকাশিত : ১৭:৫২, ১৪ মার্চ ২০২২

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অধীনস্থ ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর ঢাকা রিজেন্সী হোটেল এন্ড রিসোর্ট লিমিটেডের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ২ মাসে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকার গোপনকৃত বিক্রয় তথ্য উদঘাটন করেছে।
তদন্ত শেষে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ৫৭ লাখ ৯২ হাজার টাকার ভ্যাট ফাঁকির মামলা দায়ের করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা রিজেন্সী হোটেল ঢাকার খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ-২ এর ৪, ৬, ৩১ ও ৩৩ নম্বর প্লটে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানের মুসক নিবন্ধন নং- ০০০০০২২১১-০১০২। ভ্যাট ফাঁকির সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ভ্যাট গোয়েন্দার উপ-পরিচালক অথেলো চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি দল গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালায়। এতে ভ্যাট গোয়েন্দারা ব্যাপক ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পায়।
কর্মকর্তারা প্রতিষ্ঠানের মূসক সংক্রান্ত ও বাণিজ্যিক দলিলাদি ও ব্যবহৃত কম্পিউটারসহ অন্যান্য বাণিজ্যিক দলিলাদি তল্লাশি করে বাণিজ্যিক বিক্রয় চালান এবং বিক্রয় রেজিস্টার জব্দ করেন। এতে দেখা যায়, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে মোট ৫ কোটি ৬ লাখ ৭০ হাজার ৭৯২ টাকার বিক্রয় তথ্য পাওয়া যায়। কিন্তু এ সময় প্রতিষ্ঠান দাখিলপত্রে ৪কোটি ৫৯ লাখ ২৬ হাজার ১৭৮ টাকা বিক্রয়মূল্য প্রদর্শন করেছে। দাখিলপত্রে ৪৭ লাখ ৪৪ হাজার ৬১৪ টাকা বিক্রয় তথ্য গোপন করা হয়েছে। যার উপর পরিহারকৃত মূসক ৭ লাখ ১১ হাজার ৬৯২ টাকা। ভ্যাট যথাসময়ে পরিশোধ না করায় ভ্যাট আইন অনুযায়ী মাসিক ২ শতাংশ হারে সুদ ৫ লাখ ১২ হাজার ৪১৮ টাকা প্রযোজ্য।
ভ্যাট গোয়েন্দা জানায়, তদন্তে ২০১৯ সালের জুলাইয়ে মোট ৫ কোটি ৭৩ লাখ ২০ হাজার ৯৭৪ টাকার বিক্রয় তথ্য পাওয়া যায়। কিন্তু এ সময় প্রতিষ্ঠান দাখিলপত্রে ৩ কোটি ৮০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৮৭ টাকা বিক্রয়মূল্য প্রদর্শন করেছে। এতে দাখিলপত্রে ১ কোটি ৯২ লাখ ৭৩ হাজার ১৮৭ টাকা বিক্রয়তথ্য গোপন করেছে। যার উপর পরিহারকৃত মূসক ২৮ লাখ ৯০ হাজার ৯৭৮টাকা। ভ্যাট যথাসময়ে পরিশোধ না করায় ভ্যাট আইন অনুযায়ী মাসিক ২শতাংশ হারে সুদ ১৬ লাখ ৭৬ হাজার ৭৬৭টাকা প্রযোজ্য।
অভিজাত হোটেলটিতে মাত্র ২ মাসে মূসক বাবদ ৩৬ লাখ ২ হাজার ৬৭০ টাকা এবং সুদবাবদ ২১ লাখ ৮৯ হাজার ১৮৬ টাকাসহ মোট ৫৭ লাখ ৯১ হাজার ৮৫৬টাকার ভ্যাট ফাঁকি হয়েছে।
তদন্তে উদঘাটিত পরিহারকৃত ভ্যাট আদায়ের আইনানুগ পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য মামলাটি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা উত্তরে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম অধিকতর মনিটরিং করতে সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে অনুরোধ করা হয়েছে।
এসি
আরও পড়ুন