অর্থনীতি সচল রাখতে নতুন পথ খুঁজছে রাশিয়া (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:০০, ১৫ মার্চ ২০২২
সুইফট সুবিধা স্থগিতসহ বিভিন্ন ব্যাংকের ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় চাপে রাশিয়ার অর্থনীতি। ইতিমধ্যেই দেশটির মুদ্রা রুবলের মূল্যমান কমেছে প্রায় ৪০ শতাংশ। আটকে গেছে ৩০০ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ। তবে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা কয়েকটি দেশের ব্যাংকও পড়েছে জটিলতায়।
সশস্র যুদ্ধে জড়িয়েছে ইউক্রেন-রাশিয়া। থেমে নেই অর্থনৈতিক যুদ্ধও। ইতিমধ্যে পশ্চিমা ও তাদের মিত্র দেশগুলো রাশিয়ার ১২টি ব্যাংক, বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধজ্ঞা আরোপ করেছে। বৈশ্বিক আন্তঃব্যাংক আর্থিক লেনদেনের বার্তা প্রেরণকারী সংস্থা সুইফট থেকেও এখন বিচ্ছিন্ন রাশিয়া।
আর এতে অর্থনৈতিকভাবে চাপে দেশটি। রাশিয়ার ৬৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রিজার্ভের প্রায় অর্ধেকই এখন অকার্যকর। নিষেধাজ্ঞার কারণে বিভিন্ন দেশে জব্দ দেশটির ৩০০ বিলিয়ন ডলারের স্বর্ণ ও বৈদেশিক মুদ্রা।
এছাড়া গত কয়েক দিনে রাশিয়ার মুদ্রা রুবলের মূল্যমান হারিয়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। প্রতি এক মার্কিন ডলারে পাওয়া যাচ্ছে ১০০ রুবল।
এবিবি সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, “আমাদের আরএম আছে যে ব্যাংকগুলোর সাথে, সেই আরএম কাজ করবে না। সরাসরি কোন পেমেন্ট করা যাবে না। বিভিন্ন জায়গায় রাশিয়ান অর্ডার আছে, সেগুলো আমরা এক্সপোর্ট করে দিব। টাকা আসবে হয়তো থার্ড পয়েন্ট দিয়ে।”
তবে খুব স্বস্তিতে নেই পশ্চিমা দেশগুলোও। নিজেদের দেয়া নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়া থেকে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার আদায়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান অ্যান্ড স্যাক্সের। ইতালি, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়াসহ ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশের বিপুল অর্থ আটকে গেছে রাশিয়ায়।
এছাড়া রাশিয়ায় থাকা পশ্চিমা দেশগুলোর স্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর এটা হলে পশ্চিমা অর্থনীতিতেও ধাক্কা লাগবে বলছেন বিশ্লেষকরা।
অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, “ইতিমধ্যে তেল ১২০ ডলার, যেটা আমাদের জন্য অসম্ভব ব্যাপার। তেল কেনাটা বিশাল একটা ব্যয় সাপেক্ষ হয়ে দাঁড়াবে। আমাদের অর্থনীতিসহ বিশ্ব অর্থনীতিও থমকে যাবে। তাদেরকেও মন্দায় পড়ে যেতে হতে পারে।”
এদিকে, অর্থনীতি সচল রাখতে নতুন পথ খুঁজছে রাশিয়া। সুইফটের বিকল্প হিসেবে চায়নীজ ক্রস বর্ডার ইন্টারব্যাংক সিস্টেম- সিআইপিএস ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি।
এএইচ/
আরও পড়ুন