যুদ্ধের প্রভাবে গমের বাজার বেসামাল (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১০:৫০, ১৬ মার্চ ২০২২ | আপডেট: ১১:৩৮, ১৬ মার্চ ২০২২
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও আসন্ন রমজানের প্রভাব পড়েছে গমের বাজারে। ফলে ভারত থেকে বেশি দামে গম আমদানি করছে বাংলাদেশ। সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানি বাড়ার সাথে কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ৪ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত। আমদানিকারকরা বলছেন, চাহিদা বেশি থাকায় দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।
দেশে উৎপাদিত গমের পাশাপাশি বিদেশ থেকে আমদানি করে বাজারের আটা, ময়দা, সুজির চাহিদা মেটাতো ব্যবসায়ীরা। বেশ কয়েক বছর ধরে চাহিদার বেশিরভাগ আমদানি হতো ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে। একইভাবে অন্যান্য দেশ থেকেও গম আমদানি অব্যাহত ছিল।
কিন্তু সম্প্রতি রাশিয়া ও ইউক্রেনে চলমান পরিস্থিতিতে সেখান থেকে গম আমদানি বন্ধ রয়েছে। তাই বিকল্প হিসেবে ভারত থেকে গম আমদানি বাড়িয়েছেন ব্যবসায়িরা। আমদানিকৃত এসব গম সরবরাহ হচ্ছে ঢাকা, বগুড়া, সিলেট, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
এক মিল ব্যবসায়ী জানান, “গম দিয়ে চারটি কাজ হয়। মোটা ভূষি, চিকন ভূষি, সুজি। মিল থেকে এগুলো আমরা সরবরাহ করে থাকি।”
রমজান উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন মিলগুলোতে আটা, ময়দা, সুজির চাহিদা থাকায় বেড়েছে গমের আমদানি। তবে দেশে বাড়তি গমের চাহিদাকে পুঁজি করে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বলছেন আমদানিকারকরা। আগে প্রতিকেজি গম ২৭-২৮ টাকা কেজি বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ৩২ থেকে ৩৫ টাকায় উঠেছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক ও পাইকাররা জানান, এর আগে ২৫-২৬ টাকা ধরে স্বাভাবিক বাজার ছিল। কিন্তু চাহিদা পূরণের কারণে দামটা বেড়ে গেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দামটা বৃদ্ধি হওয়ার কারণে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা তাদের গমের মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে।
বন্দর দিয়ে গম আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। আগে ৩০-৪০ ট্রাক করে আমদানি হলেও বর্তমানে হচ্ছে ৬০-৭০ ট্রাক। এতে সরকারের রাজস্ব বেড়েছে তেমনি বন্দর কর্তৃপক্ষের আয়ও বেড়েছে। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ২ হাজার ৪৩২ ট্রাকে ৯২ হাজার ৪৭৬ টন গম আমদানি হয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, “বর্তমানে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ ট্রাক গম আমদানি হচ্ছে। এর ফলে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।”
একই অবস্থা চাঁপাইনববাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরেও। এখানে গম আমদানি দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। আগে কেজি প্রতি দাম ৩০ টাকা হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৭ টাকা দামে।
এএইচ/
আরও পড়ুন