ঈদকে কেন্দ্র করে চাঙ্গা গ্রামীণ অর্থনীতি (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:৩৯, ৩০ এপ্রিল ২০২২
স্রোতের মতো গ্রামে ফিরছে মানুষ। সঙ্গে যাচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। ঈদকে কেন্দ্র করে বাড়তি রেমিট্যান্সের সাথে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসও বাড়াচ্ছে অর্থের যোগান। যা খরচ হচ্ছে স্থানীয় হাটবাজার, দোকানপাট ও মার্কেটে। উপকৃত হচ্ছেন স্থানীয় উদ্যোক্তারা। সব মিলে এখন চাঙ্গা গ্রামীণ অর্থনীতি।
ঈদে ঘরমুখো মানুষের স্রোত। বাস, ট্রেন কিংবা লঞ্চ, তিল ধারণের ঠাঁই নেই। ব্যক্তিগত গাড়ি আর আকাশ পথেও শহর ছাড়ছেন বহু মানুষ।
গবেষণা তথ্য বলছে, এবারের ঈদে রাজধানী ছাড়বেন কমপক্ষে এক কোটি মানুষ। আর ৫ কোটি মানুষ যাবেন এক জেলা থেকে আরেক জেলায়।
এ হিসেবে শহরের বেশিরভাগ মানুষ ঈদ করবেন গ্রামে। সাথে যাচ্ছে বিপুল নগদ অর্থ। বিদেশ থেকে আসছে বাড়তি রেমিট্যান্সও। সবই খরচ হচ্ছে গ্রামের হাটবাজার, দোকানপাট-মার্কেটে। চাঙ্গা গ্রামীণ অর্থনীতি।
দু’বছরের করোনা ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন মফস্বল এলাকার বিভিন্ন পণ্যের ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা জানান, “করোনা কেটে গেছে বলে এবার ব্যবসা বাণিজ্য ভাল।”
ঈদ নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে মফস্বলের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদেরও। সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্প, জামালপুরে নকশী ও সুচিশিল্প, আর রাজশাহীর সিল্ক উৎপাদনকারীরা এখন ব্যাপক ব্যস্ত। এখান থেকে পণ্য যাচ্ছে শহরে। বিনিময়ে শহর থেকে মুনাফাসহ অর্থ আসছে উদ্যোক্তাদের কাছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ঈদের মতো বড় উৎসবে গ্রামীণ অর্থনীতি গতিশীল হয়। স্থানীয় ব্যবসা ও ব্যক্তি উদ্যোগগুলো শক্তিশালী হয়।
অর্থনীতিবিদ ড. মনজুর হোসেন বলেন, “কোভিড পরবর্তীতে ব্যবসায়ীদের ঘুরে দাঁড়ানোর একটা সুযোগ। সেই ঘুরে দাঁড়ানোর একটা হচ্ছে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলো, বিশেষ করে বুটিশ শিল্প ও অন্যান্য অ্যাপারেলস ফ্যাক্টরিগুলো আছে। এই মুহূর্তে ভাল অবস্থানে থাকার কথা।”
ঈদে মানুষের চাপ বাড়ায় গ্রামে খাদ্যপণ্যে চাহিদা বেড়ে যায়। আর এতে গ্রামীণ কৃষি, পোল্ট্রি ও মৎস্য খাত উপকৃত হয়।
এএইচ/
আরও পড়ুন