চট্টগ্রাম বন্দরে দূষণ করলেই দুই বছরের জেল (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৫:৫০, ৭ মে ২০২২
চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় দূষণ করলেই দুই বছরের জেল এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডই ভোগ করতে হবে। আবার কোন জাহাজ যদি বর্জ্য তৈরি করে তবে তার মালিক বা প্রতিনিধিকে তা অপসারণ করতে হবে। সংসদে পাস হওয়া নতুন আইনে এসব বিধান রাখা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ ১৯৭৬ রহিতক্রমে সময় উপযোগী করে নতুন আইন প্রণয়নের বিল জাতীয় সংসদে উত্থাপন করে নৌ-পরিবহন সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। সম্প্রতি বিলটি পাস করার পর অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠনো হয়েছে। ‘চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন ২০২২’ এই শিরোনামে অভিহিত করা হবে নতুন আইনটি।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, “এতকাল অপেক্ষা করতে হয়েছে একটা যথাযথ আইন প্রণয়নের জন্য। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রত্যেকটা অর্ডিন্যান্সকে আইনী ভিত্তি দেওয়ার জন্য এবং সাংবিধানিক করার জন্য পদক্ষেপ করে।”
নিয়ম অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর গেজেট মুদ্রণ করা হয়। আর সেই গেজেট চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ হাতে পাওয়ার পর থেকে নতুন আইন কার্যকর হবে। ১৮ পৃষ্ঠার এই আইনে ৮টি অধ্যায়ে ৬১টি ধারা সন্নিবেশিত করা হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
বন্দরের আইন কর্মকর্তা মুনতাসির আহমেদ বলেন, “পরিবেশের ক্ষেত্রে পরিবেশ আইন প্রযোজ্য হবে। পরিবেশ আইনে শাস্তি অনির্দিষ্ট রাখা হয়েছে, সেটা ৫ কোটি হতে পারে ৫০ কোটিও হতে পারে। যেই পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপণ করে সেই পরিমাণ দণ্ড দেওয়া যাবে।”
দীর্ঘ চার বছর ধরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটি নিরলসভাবে কাজ করেছে নতুন আইন প্রণয়নে। বিশ্বের বিভিন্ন বন্দরের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আধুনিক ধারাসমূহ নতুন আইনে যোগ করা হয়।
বহুল প্রতিক্ষিত বন্দর আইনে প্রয়োগ ও ব্যবহারে কি ধরনের সুবিধা ভোগ করবে ব্যবহারকারীরা সেটি এখনও তাদের অজানা। তবে তারা মনে করেন নতুন আইনে সবপক্ষই সুযোগ ভোগ করবে।
চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, “চট্টগ্রাম পোর্ট শতবছর আগের। অর্ডিন্যান্স দিয়ে চলার কারণে পোর্ট কিন্তু ক্যাপাসিটি বিল্ডআপ করতে পারেনি। এখন আইনের ফলে পোর্ট কর্মকর্তা ও স্টেকহোল্ডার এই আইন দ্বারা পরিচালিত হবেন।”
কর্ণফুলী নদী তীরের দেশের প্রধান এই বন্দরের বয়স এখন ১৩৫ বছর। গত অর্থবছরে বিভিন্ন খাত থেকে বন্দরের রাজস্ব আয় হয়েছে প্রায় ১২০০ কোটি টাকা। প্রতি বছর এর প্রবৃদ্ধি বাড়ছে ১২ থেকে ১৪ শতাংশ হারে।
এএইচ/
আরও পড়ুন