নিম্নবিত্তের জন্য সুখবর নেই নতুন বাজেটে (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:৫০, ১ জুন ২০২২ | আপডেট: ১২:৫২, ১ জুন ২০২২
সামাজিক নিরাপত্তা খাতে খুব একটা বরাদ্দ বাড়ছে না নতুন বাজটে। উপকারভোগীর সংখ্যাতেও থাকছে না বড় পরিবর্তন। আসন্ন বাজেটে এখাতে বরাদ্দ দেয়া হতে পারে ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে বিপাকে পড়া অসহায় ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে স্বস্তি দিতে এখাতের আওতা ও বরাদ্দ বাড়ানো দরকার।
অতিদ্ররিদ্র ও অসহায় মানুষকে দারিদ্রসীমার ওপরে তুলে আনতে খাদ্য ও নগদ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে সরকার। ১২৩টি কর্মসূচির আওতায় ২৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মাধ্যমে বছরে ব্যয় হচ্ছে বিপুল অর্থ।
চলতি বাজেটে অভাবী ও নিরুপায় মানুষকে সহায়তায় সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী খাতে বরাদ্দ আছে ১ লাখ ৭ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা। তবে ২০২২-২৩ অর্থবছরের আসন্ন বাজেটে এখাতের বরাদ্দ খুব একটা বাড়ছে না। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, নতুন বাজেটে বরাদ্দ থাকতে পারে ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা।
যার মধ্যে ওএমএস, ভিজিডি, ভিজিএফ ও কাবিখায় ১৯ হাজার কোটি টাকা; বেদে, হিজরা, অনগ্রসর জনগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধীদের জন্য ৩৩ হাজার কোটি; বয়স্ক, বিধবা, মাতৃত্ব ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানীতে ২৮ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য কর্মসূচিতে বরাদ্দ দেয়া হতে পারে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা।
তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির সাথে সাধারণ মানুষ পেরে উঠছে না। দরিদ্র জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি চাপে পড়েছে। নতুন বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের আওতা ও বরাদ্দ দুই-ই বাড়ানো জরুরি।
অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, “একটি কর্মসূচি আছে যেটাতে ১০ টাকায় এক কেজি চাল দেওয়া হয় দরিদ্র পরিবারকে। আগামী এক বছরের জন্য এর পরিধি বাড়ান উচিত বলে মনে করছি।”
এদিকে, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল এনএসএসএস-এর মধ্যবর্তী উন্নয়ন পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন বলছে, সঠিক ব্যক্তিদের ভাতার আওতায় আনা গেলে বাড়তি ব্যয় ছাড়াই প্রায় ১ কোটি ৭ লাখ মানুষকে দারিদ্রসীমার ওপরে তুলে আনা সম্ভব।
এএইচ
আরও পড়ুন