ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

আসছে বাজেটে বাড়ানো হচ্ছে ভর্তুকি ব্যয় (ভিডিও)

মেহেদী হাসান, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০৩, ২ জুন ২০২২

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কষ্ট কমোনোর বাজেট চান অর্থনীতিবিদরা। তাই আসছে বাজেটে বাজার নিয়ন্ত্রণে বিশেষ কৌশল থাকা জরুরি বলছেন তারা। এদিকে, ভর্তুকি বৃদ্ধি ও আমদানি-নির্ভর পণ্যের উৎপাদন বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে চায় সরকার।

রপ্তানি ও প্রবাসী আয় মিলিয়েও মেটানো যাচ্ছে না আমদানি ব্যয়। ফলে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে। ডলারের বিপরীতে দুর্বল হচ্ছে টাকা, চাপে পড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। অন্যদিকে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ববাজারে খাদ্য ও জ্বালানি তেলের দাম বেপরোয়া। জাহাজ ভাড়াও বেড়েছে কয়েকগুণ।

আর এসবের সরাসরি প্রভাব পড়ছে সব ধরনের পণ্যমূল্যে। লাফিয়ে বাড়ছে দাম। ঠেকানো যাচ্ছে না মূল্যস্ফীতি। বিশেষ করে খাদ্যখাতের মূল্যস্ফীতি চরম কষ্টে ফেলেছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষকে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো- বিবিএসের তথ্য বলছে দেশে মূল্যস্ফীতি এখন ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ। বৈশ্বিক অস্থিরতা না কাটলে মূল্যস্ফীতির উর্ধ্বমুখী প্রবণতা আরও দীর্ঘ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন বাস্তবতায় মানুষকে কমমূল্যে খাদ্যপণ্য ও সেবা দেয়া নতুন বাজেটের বড় চ্যালেঞ্জ বলছেন অর্থনীতিবিদরা। 

অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমার বলেন, “এক হলো শুল্ক সমন্বয়ে করা যেতে পারে, দ্বিতীয়ত আমদানির স্তর থেকে ভোক্তা-উৎপাদনকারী-রপ্তানিকারক স্তর পর্যন্ত যে ব্যবস্থাপনা এটার দক্ষতা বৃদ্ধি করা আর তৃতীয়টা হলো কিছুটা মূল্য যদি সমন্বয় করা যায়।”

অর্থনীতিবিদ ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, “বহির্বিশ্বের অবস্থার ফলে যে মূল্যস্ফীতি আমাদের দেশে হচ্ছে সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। তাই আমাদের দেখতে হবে, মূল্যস্ফীতির ফলে সমাজের কোন শ্রেণীর মানুষ বেশি মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”

বাজার নিয়ন্ত্রণে এরই মধ্যে শুল্ক কমানো হয়েছে ভোজ্যতেলে। প্রয়োজনে অপরিহার্য সব পণ্যের আমদানি ও ভোক্তা পর্যায়ে ভ্যাট ও শুল্ক ছাড়ের পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের। একইসাথে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার প্রধান হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনার কথা বলছেন তারা।
 
ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, “যারা দারিদ্রসীমার ঠিক একটু উপরে ছিল তারা দারিদ্রসীমার নীচে চলে গিয়েছে। তাদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতা বাড়াতে হবে, বরাদ্দও বাড়ানো লাগবে।”

অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমার বলেন, “সরকারের যে ওপেন মার্কেট সেল, সরাসরি যে খাদ্য সহায়তা, নগদ সহায়তা সেখানে কিভাবে প্রাপ্যতা বাড়াতে পারি এবং বাড়িয়ে তাদের জীবনযাত্রার মানকে কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পারি সেই দিকটাতে নজর দেওয়া উচিত।”

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসছে বাজেটে বাড়ানো হচ্ছে ভর্তুকি ব্যয়। নতুন অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য সরকারের। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি