মূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যবসায়ীদের আরো বেশি দায়িত্বশীল থাকার আহ্বান
প্রকাশিত : ১৯:১৯, ২ জুন ২০২২ | আপডেট: ১৯:২১, ২ জুন ২০২২
বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ী নেতাদের নিজ নিজ খাতে আরো বেশি দায়িত্বশীল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন। কারসাজি করা সামান্য কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর দায় এফবিসিসিআই নেবেনা বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) দুপুরে এফবিসিসিআই আয়োজিত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর আমদানি, মজুদ, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বিলাসপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি হলেও ধনীরা ক্রয় করতে পারে, কিন্তু সাধারণ মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে যা খুশি তা করা যাবেনা। কারসাজি করে কেউ যাতে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ী নেতাদেরকে আরো দায়িত্বশীল হওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।
অসাধু ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ আর আগের বাংলাদেশ নেই। মানুষের জীবনযাত্রার মান বেড়েছে। সরকারও এখন অনেক বেশি শক্ত অবস্থানে। অসাধু ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা সরকারের কাছে কঠিন কিছু নয়। কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে মসলা, তেল ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানোর চেষ্টা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। সততা ও স্বচ্ছতা দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান মোঃ জাসিম উদ্দিন।
তিনি আরো বলেন, কিছু প্রতিষ্ঠান চাল, ডাল, চিনি, লবন ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে প্যাকেট করে বাজারজাত করে। তাদের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা দরকার। এসময়, ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটাতে রাইস ব্রান অয়েল এর ব্র্যান্ডিং ও ব্যবহার বাড়ানোর আহ্বান জানান সভাপতি।
বাজারে ধান ও চালের দাম কমানো অব্যাহত রাখতে খুচরা ও মিল মালিকদের নিয়মিত আলোচনার মাধ্যমে নূন্যতম লাভে পণ্য বিক্রি করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু।
দিনাজপুর চালকল মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন চালের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে জানান, কৃষক পর্যায়ে ধানের দাম বেশি। বন্যায় বোরো ধান উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় আগের থেকে দ্বিগুন দামে কিনতে হচ্ছে ধান। এছাড়া চাল উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ব্যাংক যুক্ত হওয়ায় পুঁজি বেড়েছে, ধান কেনার প্রতিযোগীতাও বাড়ছে যা চালের দাম বৃদ্ধির কারণ বলে মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশ অটো মেজর হাস্কিং মিল ওনার্স অ্যসোসিয়েশনরে সহ-সভাপতি শহিদুর রহমান পাটোয়ারী (মোহন) অভিযোগ করেন, স্টক বিজনেস যারা করেন তাদের কাছে অনেক সময় মিলারদের থেকে বেশি ধান মজুদ থাকে যা চালের মূল্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। তিনি বলেন, চালের ন্যায্যমূল্য শব্দটা এর কাচামাল ধানে প্রয়োগ করা উচিৎ।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বাজারে মসলা, তেল ও লবনের কোনো ঘাটতি নেই, দামও বাড়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানান সংশ্লিষ্ট খাতের মিলার ও পাইকাররা। এছাড়া পনেরো দিন পর পর নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নির্ধারণ, গরম মসলার আমদানি শুল্ক কমানোর দাবী জানান তারা।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি মোঃ আমিন হেলালী, সালাহউদ্দিন আলমগীর, মোঃ হাবীব উল্ল্যাহ ডন ও পরিচালকবৃন্দ ।
এসি
আরও পড়ুন