নতুন বাজেটে কমতে পারে কর্পোরেট ট্যাক্স (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৪:৫৬, ৫ জুন ২০২২
ধনীদের ওপর বাড়ছে কর। ব্যাংকে ১ কোটি বা তার বেশি টাকা থাকলে দিতে হবে বাড়তি আবগারি শুল্ক। তবে কর্পোরেট ট্যাক্স কমতে পারে আড়াই শতাংশ। অপরিবর্তিত থাকছে ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মোবাইল অপারেটরদের কর। বাড়ছে না ব্যক্তিশ্রেণীর করমুক্ত আয়সীমা।
রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আসছে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ধনীদের কাছ থেকে বাড়তি কর আদায় করতে চায় সরকার। ডেবিট বা ক্রেডিট আকারে যাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১ থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত স্থিতি থাকবে, তাদের আবগারি শুল্ক ৩ হাজার টাকা বেড়ে উন্নীত হচ্ছে ১৮ হাজার টাকায়।
তবে ৫ কোটির বেশি স্থিতি আছে এমন অ্যাকাউন্টের আবগারি শুল্ক ১২ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে করা হতে পারে ৪৫ হাজার টাকা। অন্যান্য ক্ষেত্রে আবগারি শুল্কে তেমন কোনো পরিবর্তন আসছে না।
এদিকে, শর্তসাপেক্ষে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাবহির্ভূত কোম্পানি কর-হার আড়াই শতাংশ কমিয়ে যথাক্রমে ২০ শতাংশ ও ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা হচ্ছে। কিন্তু ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মার্চেন্ট ব্যাংক, টেক্সটাইল, তৈরি পোশাক, মোবাইল অপারেটদের কর্পোরেট ট্যাক্সে পরিবর্তন আসছে না।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাড়তি করারোপের চেয়ে কর-ব্যবস্থাপনায় সংস্কারের পাশাপাশি রাজস্ব বাড়াতে উদ্ভাবনী কৌশল জরুরি।
অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “ডাইরেক্ট ট্যাক্সেশন থেকে শুরু করে অন্যান্যগুলোর ক্ষেত্রে বছরের পর বছর আইনগুলো পাস করছি না, প্রয়োগও করছি না। সেই জায়গাটায় এবারের বাজেটে উদ্যোগ থাকবে বলে আশা করছি।”
এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ বলেন, “১৫ শতাংশ হওয়া উচিত ছিল সেটা ৮, ৯ বা ১০ হচ্ছে। অর্থাৎ এই ইকিনোমিকে আয় আছে, জিডিপি গ্রোথ হয়েছে কিন্তু পুরোটা ট্যাক্স দেওয়া হয়নি, নেওয়া হয়নি, পাওয়া যায়নি। এখানেই নজরটা দেওয়া দরকার।”
ধারবাহিকভাবে কর্পোরেট কর কমানোর সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক বলছেন ব্যাংকাররাও। বন্ড মার্কেট ও সার্বিক পুঁজিবাজারকে গতিশীল দেখতে চান তারা।
মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুর রহমান বলেন, “বন্ডকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করার জন্য বেনিফিট দেওয়া উচিত।”
তবে বাজেটে সাধারণ মানুষের জন্য অকল্যাণকর কিছু থাকবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, “দাম কমিয়ে দেওয়ার জন্য পণ্যের ট্যারিফ কমানো হবে। যেসব পণ্য আমদানি করা উচিত নয় বা কম করলেও চলবে সেগুলোকে নিরুৎসাহিত করার জন্য ট্যারিফ বাড়িয়ে দেওয়া। কর কাঠামোতে এটা থাকবে।”
এদিকে, মাথাপিছু আয় ও মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় ব্যক্তিশ্রেণীর করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর জোরালো দাবি থাকলেও নতুন বাজেটে তা ৩ লাখ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হতে পারে।
এএইচ
আরও পড়ুন