ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪

যেসব পণ্যের দাম বাড়বে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:২৭, ৯ জুন ২০২২ | আপডেট: ২২:১৬, ৯ জুন ২০২২

বাজেট এলেই দেশের মানুষের সবচেয়ে আগ্রহের জায়গা তৈরি হয় পণ্যের দাম বাড়া-কমা নিয়ে। ব্যতিক্রম নয় এবারের বাজেটও। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে শুল্ক ও কর আরোপের প্রস্তাবনায় বাড়ছে বেশ কিছু পণ্যের দাম।

এর মধ্যে রয়েছে বডি স্প্রে, প্রসাধনী পণ্য, জুস, প্যাকেটজাত খাদ্য।

এরমধ্যেই এক প্রজ্ঞাপনে বিদেশি ফল-ফুল, ফার্নিচার ও কসমেটিকস জাতীয় প্রায় ১৩৫টি পণ্যের ওপর ৩ শতাংশের পরিবর্তে আরোপ করা হয়েছে ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক। আবারও শুল্ক আরোপের কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে বিড়ি সিগারেটসহ সব ধরনের তামাকজাত পণ্যের দাম।

দেশীয় শিল্পের সুরক্ষায় শুল্ক আরোপের কারণে বাড়ছে আমদানি করা স্মার্টফোনের দাম। বাড়তে যাচ্ছে বিলাসবহুল গাড়ির দাম, আমদানি করা ফ্রিজ আর এসির দাম।

মহামারি কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন শিরোনামে নতুন অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বরাবরের মতোই, অভ্যন্তরীণ সম্পদের ব্যবহার আর প্রয়োজন বুঝে আমদানির লক্ষ্যে বাজেটে শুল্ক করের হারে আসতে যাচ্ছে অদল বদল।

যদিও নতুন অর্থবছরে শুল্ক আর ভ্যাট ছাড়ের প্রস্তাবনায় দাম কমছেও বেশ কিছু পণ্যের। ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, প্রিন্টার ও অন্যান্য কম্পিউটার ও আইসিটি পণ্যে। প্রত্যাহার করা হবে ৫ শতাংশ শুল্ক।

ফলে দেশে উৎপাদিত কম্পিউটার ও আইসিটি পণ্যের দাম কমছে। একই কারণে কমছে দেশীয় কৃষি যন্ত্রপাতির দাম। ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা পেতে যাচ্ছে দেশীয় গাড়ি শিল্প। ফলে মোটরগাড়ি তৈরিতে যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশের আমদানিতে শুল্ক ছাড়ের পাশাপাশি ৫ শতাংশ ভ্যাট অব্যাহতি প্রস্তাব আসতে পারে বাজেটে। ফলে দেশে তৈরি গাড়ি তুলনামূলক কম দামে মিলছে। এ ছাড়া কমছে দেশে উৎপাদিত মুঠোফোনের দাম।

তবে গতকাল বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এবারের বাজেটে প্রাধিকার পাবে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। ‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ শিরোনামের এবারের বাজেটটি প্রস্তুত হয়েছে সরকারের অতীতের অর্জন এবং উদ্ভুত বর্তমান পরিস্থিতির সমন্বয়ে। এবারের বাজেটে সঙ্গত কারণেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কৃষি খাত, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ, কর্মসংস্থান ও শিক্ষাসহ বেশ কিছু খাত।

বাজেটের ঘাটতি পূরণে সরকারকে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ নিতে হবে। যে কারণে প্রস্তাবিত বাজেটে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা। যেখানে বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে ৯৫ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা।

এমএম/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি