মুদ্রণ ও প্যাকেজিং শিল্পের শুল্ক কমিয়ে ৫ শতাংশ করার দাবি
প্রকাশিত : ১৮:৫৮, ২২ জুন ২০২২ | আপডেট: ১৯:২৩, ২২ জুন ২০২২
দেশের মুদ্রণ, প্রকাশনা, প্যাকেজিং এবং ওষুধ শিল্পের প্রধান কাঁচামালের ওপর আরোপিত শুল্ক কমিয়ে ৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে এই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৭টি সংগঠন।
বুধবার (২২ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ লোকাল কার্টুন ম্যানুফেকচারার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতি, বাংলাদেশ পেপার ইম্পোর্টার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রক ও বিপণন সমিতি ও প্যাকেজিং ইন্ডাষ্ট্রিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা তাদের দাবি তুলে ধরেন।
এ সময় নেতারা বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে মুদ্রণ শিল্পের কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ কর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে এই শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্টরা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। কর ৫ শতাংশ করা হলে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে বলে জানান নেতারা। একই সাথে বন্ড সুবিধার অপব্যবহার রোধ এবং দুর্নীতিও রোধ করা যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রস্তাবিত বাজেটে মুদ্রণ শিল্পের এ সব কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে উচ্চহারে শুল্ক-কর ২৫ শতাংশ আরোপ করায় বন্ড সুবিধার আওতায় আমদানিকৃত বিভিন্ন বোর্ড ও পেপার স্থানীয় খোলা বাজারে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে বন্ডেড সুবিধার অপব্যবহার হবে। অপরদিকে শুল্কহার কমানো হলে বন্ড সুবিধার অপব্যবহার রোধ করা সম্ভব হবে এবং রাজস্ব আদায় আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি পাবে যা ব্যবসা বাণিজ্য শৃঙ্খলা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে ভুমিকা রাখবে। ফলে অসাধু চক্রের তৎপরতা বন্ধ হবে। তাই প্রস্তাবিত বাজেটে মুদ্রণ, প্রকাশনা, প্যাকেজিং এবং ওষুধ শিল্পের এসব কাঁচামালের ওপর শুল্ক কর ৫ শতাংশ করা হলে ভবিষ্যতে এসব পণ্যের আমদানির পরিমাণ প্রায় দুইগুণ বৃদ্ধি পাবে।
তারা বলেন, বিগত অর্থ বছরে ২০১৯-২০২০ সালে ঘোষিত বাজেটে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুচিন্তিত সিদ্ধান্তে শুল্ক-কর ১৫ শতাংশ নির্ধারিত হয়েছিল। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে শুল্ক কর ১৫ শতাংশ এর স্থলে ২৫ শতাংশ নির্ধারণের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। কি কারণে এই শুল্ক কর বৃদ্ধি করা হয়েছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা মনে করি- এসব পণ্যের কর ২৫ শতাংশ এর পরিবর্তে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হলে আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে এবং জাতীয় রাজস্ব আয় বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে।
সরকার প্লাষ্টিক কাঁচামাল সামগ্রী আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক কর নির্ধারণ করা হয়েছে যা আমাদের দেশে উৎপাদিত হয় না। অনুরূপভাবে আমাদের আমদানিকৃত উন্নত মানের কাঁচামাল (পেপার এবং পেপার বোর্ড সমূহ) দেশে উৎপাদিত হয় না বিধায় আমদানি পর্যায়ে কাঁচামালের শুল্ক কর প্রস্তাবিত বাজেটে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা জনস্বার্থে ও রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে অপরিহার্য বলে অনুমিত হয়। কারণ এর ফলে এ সব পণ্যের আমদানিকারকগণ দেশিয় অভ্যন্তরীণ বাজারের পাশাপাশি রপ্তানি খাতেও অংশগ্রহণে সমর্থ হবে যা প্রকারান্তরে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধিতেও সহায়ক হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই এর সহ-সভাপতি মো: আমিন হেলালী, বাংলাদেশ পেপার ইম্পোর্টাস এসোসিয়েশন এর সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম ভরসা, বাংলাদেশ মূদ্রণ শিল্প সমিতি মোবাইল এর সভাপতি শহীদ সেরনীয়াবাত, এফবিসিসিআই এর পরিচালক রাব্বানী জব্বার, চট্টগ্রাম কাগজ ও সেলফিন ব্যবসায়ী গ্রুপ এর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বেলাল, দি বাংলাদেশ পেপার মার্চেন্টস এসোসিয়েশন এর সহ-সভাপতি মোঃ জুয়েল, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি এর সহ-সভাপতি শ্যামল পাল, বাংলাদেশ লোকাল কার্টুন ম্যানুফেকচারার্স এর সভাপতি বাসার পাটোয়ারি।
এসি
আরও পড়ুন