পণ্যের দাম শহরের চেয়ে গ্রামে বেশি (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৪:৩২, ২৭ জুন ২০২২ | আপডেট: ১৪:৪৬, ২৭ জুন ২০২২
শহরের চেয়ে গ্রামে বেশি বাড়ছে পণ্যের দাম। গ্রামীণ জনপদে খাদ্যখাতে মুল্যস্ফীতির চাপ এখন প্রায় ৯ শতাংশ। যা শহরের চেয়ে এক শতাংশ বেশি। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বৈশ্বিক অস্থিরতা কাটার পাশাপাশি ডলারের দাম স্থিতিশীল হলে কমতে পারে পণ্যমূল্য।
উর্ধ্বমুখী খাদ্যপণ্যের বাজার। সুখবর নেই খাদ্যবহির্ভূত খাতেও। আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে মূল্যস্ফীতি।
পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, গেল মে মাসে দেশে সাধারণ মূল্যস্ফীতি উন্নীত হয় ৭ দশমিক ৪২ শতাংশে। যার মধ্যে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৩ এবং খাদ্যবহির্ভুত খাতে ৬ দশমিক ০৮ শতাংশ।
এদিকে, মে মাসে শহরের চেয়ে গ্রামে বেশি বেড়েছে পণ্যের দাম। এ সময়ে গ্রামে মূল্যস্ফীতি ছাড়ায় ৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ। খাদ্যের ক্ষেত্রে এটি ছিল ৮ দশমিক ৮ শতাংশ। আর শহরে এ হার ৭ দশমিক ৮ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে সরবরাহ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হওয়ার প্রভাব পড়েছে বৈশ্বিক পণ্য বাজারে। এ কারণে বাংলাদেশেও লাফিয়ে বাড়ছে পণ্যের দাম।
অর্থনীতিবিদ মনজুর হোসেন বলেন, “বৈশ্বিক যে মুদ্রাস্ফীতি, তার একটা প্রভাব আছে। কারণ হচ্ছে, আমরা অনেক জিনিস আমদানি করে থাকি। তাতে আমদানি কর বাড়ছে। দ্বিতীয়ত কারণ হচ্ছে ডলারের মূল্যের অবমূল্যায়ন।”
বিশ্ববাজারে অস্থিরতা কাটার পাশাপাশি ডলারের মূল্য স্থিতিশীল না হলে সহসাই পণ্যের দাম কমার সম্ভাবনা দেখছেন না অর্থনীতিবিদরা।
মনজুর হোসেন বলেন, “সরকার যেটা করতে পারে, প্রয়োজনীয় এন্সেশিয়াল গুডসের উপর আমদানি শুল্ক মওকুফ করা। চাহিদাজনিত যে মূল্যস্ফীতির কারণ ঘটেছে এটার মোকাবেলা করতে হবে মূল্যনীতির মাধ্যমে।”
২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নামিয়ের আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন অর্থমন্ত্রী।
এএইচ
আরও পড়ুন