চাল আমদানিতে শুল্ক ছাড় পাচ্ছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৫:৩২, ৩ জুলাই ২০২২
বাজার স্থিতিশীল রাখতে বেসরকারি খাতের প্রায় একশ’ প্রতিষ্ঠান চাল আমদানির সুযোগ পাচ্ছে। শর্তসাপেক্ষে এসব প্রতিষ্ঠান প্রথম দফায় ৪ লাখ ৯ হাজার টন চাল আমদানি করবে। পাচ্ছে বড় ধরনের শুল্ক ছাড়। এমন পদক্ষেপকে যৌক্তিক বলছেন অর্থনীতিবিদরা।
বোরোর ফলন উঠেছে দু’মাসও হয়নি। সধারণত এ সময়টায় চালের দাম কিছুটা কম থাকে। কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন। দাম বাড়তির দিকে।
অস্থিরতা বিরাজ করছে বৈশ্বিক খাদ্যপণ্যের বাজারেও। এমন বাস্তবতায় বেসরকারি খাতের ৯৫টি প্রতিষ্ঠানকে চাল আমদানির অনুমতি দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
এসব প্রতিষ্ঠান প্রথম ধাপে ৩ লাখ ৭৯ হাজার টন সিদ্ধ এবং ৩০ হাজার টন আতপ চাল আমদানি করবে। ২১ জুলাইয়ের মধ্যে বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে খুলতে হবে এলসি। আমদানি বিষয়ক সব তথ্য তাৎক্ষণিক অবহিত করতে হবে খাদ্য মন্ত্রণালয়কে। ১১ আগস্টের মধ্যে বাজারজাত হবে আমদানির চাল।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “চালের যে মজুদ সেটা যদিও স্বাভাবিক পর্যায়ে আছে এবং সরকারের হাতেও মজুদ আছে। কিন্তু বাজারে তার প্রতিফলন নেই।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাদ্য-নিরাপত্তা জোরদারে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত যৌক্তিক। মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে সরবরাহ বাড়ানোর বিকল্প নেই।
ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “চাল আমদানিটা যৌক্তিক। তবে আমদানিটা সীমাবদ্ধ রাখা উচিত। সীমিত পর্যায়ে আমদানির অনুমোতি দেওয়া হচ্ছে।”
বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত আমদানিতে শুল্ক ছাড়ের পক্ষে অর্থনীতিবিদরা।
কৃষি অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, “আন্তর্জাতিক বাজার এবং বর্তমানে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজার এই দুটোকে চিন্তা করে ২৫ শতাংশ শুল্ক হার যৌক্তিক হয়েছে বলে আমি মনে করি।”
চালের আমদানিতে মোট করভার ৬২ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। শুল্ক ছাড়ের মেয়াদ ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল থাকবে।
এএইচ
আরও পড়ুন