ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪

অতিরিক্ত মুনাফার লোভে অস্থিতিশীল চালের বাজার (ভিডিও)

আহম্মদ বাবু, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫৫, ১৭ জুলাই ২০২২ | আপডেট: ১২:০৪, ১৭ জুলাই ২০২২

উৎপাদন খরচ থেকে শুরু করে খুচরা পর্যায়ে পৌঁছাতে এক কেজি সরু চালের দাম ৫০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। অথচ প্রতি কেজিতে ২৫ টাকা দাম বাড়িয়ে বাজারে সে চাল বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকায়।

২০২১ সালে সারাদেশে ধান উৎপাদন হয়েছে ৫ কোটি ৬৪ কোটি লাখ মেট্রিক টনের বেশি। আর এক কেজি ধান উৎপাদন করতে কৃষকের খরচ হয় ২৬ থেকে ২৭ টাকা। এ হিসাবে ৪০ কেজি ধানের দাম ১১০০ টাকা।

গবেষণা বলছে, ৪০ কেজি ধান থেকে ২৮ কেজি চাল আসলে প্রতি কেজির দাম ৩৯ টাকার একটু বেশি হয়। 

কৃষকের ৫৫ শতাংশ, মিলারের ২৩ শতাংশ এবং বাকি ২২ শতাংশ মধ্যসত্বভোগীসহ অন্যান্য খুচরা বিক্রেতাদের লাভ ধরলে এক কেজি সরু চালের দাম ৫০ টাকার বেশি হওয়ার সুযোগ নেই। মোটা চালের দাম তো আরও কম হওয়ার কথা।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেন, “১১শ’ টাকা ধরের ৪০ কেজি ধান থেকে ২৮ কেজি চাল হলে প্রতি কেজি চালের দাম হবে ৩৯ টাকা। সেখানে চালের কেজি ৫০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়।”

খুচরা বাজারে সেই মোটা আর সরু চাল তাহলে কত দামে বিক্রি হচ্ছে?

খুচরা বিক্রেতারা জানান, “সর্বনিম্ন ৪৪ আর সর্বোচ্চ ৬৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে মিনিকেট, আটাশ ও মোটা চাল। তবে নাজির শাইল বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়।”

ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে দাম রাখতে সরকারি নজরদারি জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেন, “আমাদের রিসার্চে বলছে, ৫৫ শতাংশ পাবে উৎপাদনকারী, মিলাররা পাবে ২০ থেকে ২৩ শতাংশ, ৭ শতাংশ পাবে ফরিয়ারা এবং ১৩ শতাংশ পাবে খুচরা ব্যবসায়ীরা। সুতরাং এভাবে যদি এটা বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে কারোরই লোকশান হবে না। ২০ শতাংশে লাভে হচ্ছে না ৫০ শতাংশ করবো, বিপত্তিটা তখনই হয়।”

অতিরিক্ত মুনাফার লোভে চালের বাজার অস্থিতিশীল করে রেখেছে এমনটাও মনে করেন তারা।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বলেন, “যার যেখানে দায়িত্ব সেই দায়িত্ববোধের জায়গাটা থেকে যদি সবাই কাজ করি তাহলে কোন সমস্যা হবে না।”

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি