ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪

মিনিকেট তৈরি বন্ধ হলে চাল রপ্তানিও সম্ভব (ভিডিও)

আহম্মদ বাবু, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:০৯, ১০ আগস্ট ২০২২ | আপডেট: ২২:১৩, ১০ আগস্ট ২০২২

মিনিকেট নামে আসলে কোনো চাল নেই। মোটাচালকে মেশিনের সাহায্যে ছেঁটে মানুষকে ধোকা দিয়ে বাজারে ছাড়া হয় এ নামের চাল। আর এতে প্রতিবছর অপচয় হচ্ছে প্রায় ৫২ লাখ মেট্রিক টন চালের অংশ। 

দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে ধান উৎপাদন হতো ১০৯ লাখ মেট্রিক টন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর ধানের উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৫৬৫ লাখ মেট্রিক টন।

দেশে উৎপাদিত ধান থেকে বছরে চাল পাওয়ার কথা প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ মেট্রিক টনের মতো। অটোরাইস মিলগুলোতে বিভিন্ন জাতের ধানের চাল কেটে চিকন করায় কমেছে উৎপাদন। অতিরিক্ত পালিশ করার পর মিনিকাট বা মিনিকেট নামে বাজারে তা বিক্রিও হচ্ছে। আর এতে বছরে ক্ষতি ৫২ লাখ মেট্রিক টনের মতো। যদিও পলিশ করা চালের উচ্ছিষ্ট বিক্রিও হচ্ছে পশুখাদ্য হিসেবে। 

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের গবেষক ও সদস্য প্রফেসর মো. আব্দুল আলীম বলেন, “৫শ’ ৬৪ লাখ টন ধান উৎপাদিত হয়। সেই ধানের ৪০ কেজিতে ২৮ কেজি চাল হওয়ার কথা সেখানে ছেটে ২৩ কেজি করা হচ্ছে। এতে ৫১ লাখ মেট্রিক চাল আমাদের খাবার থেকে গোখাদ্য হিসেবে বাইরে চলে যাচ্ছে।”

গবেষকরা বলছেন, চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশি হলেও চাল ঘাটতির মূল কারণ অপচয়। এতে নষ্ট হচ্ছে চালের পুষ্টিমানও।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেন, “যদি ৩৮.৫ মিলিয়ন টন উৎপাদন বলি তাহলে ৩.০৮ মিলিয়ন টন চাল উদ্বৃত্ত থাকে। ”

প্রফেসর মো. আব্দুল আলীম বলেন, “৫০ শতাংশও যদি সেভ করতে পারি তাহলে বাইরে থেকে চাল আনার কোনো যৌক্তিকতাই নাই।”

ঘাটতি পূরণে প্রতিবছর সরকার ১০ লাখ মেট্রিক টন আমদানি করে। মোটা জাতের ধান থেকে মিনিকেট তৈরি বন্ধ হলে ঘাটতি মিটিয়ে আরও অন্তত ৪০ লাখ টন চাল রপ্তানী সম্ভব। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি