বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক বৈরি পরিস্থিতিতেও সংকটে নেই বাংলাদেশ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ২১:৫৬, ১৮ আগস্ট ২০২২
প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের প্রবাহ বেড়েছে দেশে। বেড়েছে রফতানি আয়। কমেছে পণ্য আমদানি। সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে অস্থিরতা কমে ডলারের বাজার এখন অনেকটাই স্থিতিশীল।
সবমিলিয়ে বিশ্বজুড়ে চলমান অর্থনৈতিক বৈরি পরিস্থিতিতেও সংকটে নেই বাংলাদেশ।
বৈদেশিক লেনদেনে ভারাসাম্য আনতে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ এর কাছে সাড়ে চারশো কোটি ডলারের ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে আলোচনা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে।
এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য বলছে, জুলাই মাসে রপ্তানি হয়েছে ৩৯৮ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি। রেমিটেন্স এসেছে ২০৯ কোটি ডলার, এখানে প্রবৃদ্ধি ১২ দশমিক ০৪ শতাংশ। পাশাপাশি এসময় আমদানি ঋণপত্র খোলার হার কমেছে ৩১ শতাংশ।
ফলে বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্য অনেকটাই ফিরে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সংকটে নেই বলে জানিয়েছে আইএমএফ। তবে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত স্থিতিশীল রাখতে ঋণ চাওয়ার বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে আন্তর্জাতিক এই দাতা সংস্থা।
বাংলাদেশের সম্প্রতি জ্বালানি ও সারের মূল্য বৃদ্ধির ব্যপারে কোন পরামর্শ না দেয়ার কথাও জানিয়েছে আইএমএফ। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আইএমএফ এর ঋণ পেতে হলে কিছু সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই যেতে হবে বাংলাদেশকে।
এদিকে সম্প্রতি বৈদেশিক মুদ্রা কেনা-বেচায় ব্যাংকগুলোকে এক টাকার বেশি মুনাফা না করার নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্য চলে আসায় বৈদেশিক মুদ্রার বাজার আরো স্থিতিশীল হয়ে আসবে বলে আশা অর্থনীতিবিদদের।
খোলা বাজারের সাথে ব্যাংকে ডলারের দামের পার্থক্য কমে এলে হুন্ডিও কমবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
এসি
আরও পড়ুন