বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়া বস্ত্রখাতে একে অপরের পরিপূরক হতে পারে
প্রকাশিত : ১৭:৫০, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া পরস্পরের অকৃত্রিম বন্ধু এবং অংশীদার। এভাবেই দেশ দুটি নিজেদেরকে দেখতে হবে এবং একসাথে সমৃদ্ধশালী হওয়ার জন্য পারস্পরিক সহযোগিতা প্রসারিত করতে হবে।
তিনি বলেন, সুযোগ এবং সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগানোর উপায়গুলো চিহ্নিত করার জন্য সহযোগিতামূলক সম্পৃক্ততা প্রয়োজন।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলো এর সাথে দূতাবাসে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এসব কথা বলেন।
এ সময় বিজিএমইএ সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, পরিচালক ব্যারিস্টার ভিদিয়া অমৃত খান এবং বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ফরেন অ্যাফেয়ার্স এর চেয়ারম্যান শামস মাহমুদও উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে তারা বিশেষ করে, বাংলাদেশ এবং ইন্দোনেশিয়ার পারস্পরিক বানিজ্য সম্ভাবনা উন্মোচন করতে দেশ দুটির মধ্যে সম্ভাব্য সহযোগিতার উপায়গুলোকে গুরুত্ব প্রদান করে বানিজ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়াবলী নিয়ে আলোচনা করেন।
তারা বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়া কিভাবে পোশাক এবং টেক্সটাইল খাতের উন্নয়নে একে অপরের পরিপূরক হতে পারে, সে বিষয়েও আলোচনা করেন।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের পোশাকখাত পণ্যোর বৈচিত্র্যকরণ, বিশেষ করে উচ্চ মূল্যের নন-কটন পোশাক পণ্য এবং টেকনিক্যাল টেক্সটাইলের ওপর যথাযথ গুরুত্ব প্রদান করেছে।
ইন্দোনেশিয়ার টেক্সটাইল খাত বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে ম্যান-মেইড ফাইবারের চাহিদা পূরণ করতে পারে। অন্যদিকে, ইন্দোনেশিয়া বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারে।
তিনি বলেন, এটি উভয় দেশের জন্য উইন উইন (লাভজনক) পরিস্থিতি তৈরি করবে।
বিজিএমইএ সভাপতি রাষ্ট্রদূত এবং ইন্দোনেশিয়ার পোশাক ও টেক্সটাইল ব্যবসায়ীদের আসন্ন “মেইড ইন বাংলাদেশ উইক”এ অংশগ্রহনের জন্য আমন্ত্রন জানান।
বিজিএমইএ বিশ্বে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে তুলে ধরতে এবং শিল্পের সক্ষমতা প্রদর্শন করতে এ বছর ঢাকায় বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ এর সাথে অংশীদারিত্বে ১২-১৮ নভেম্বর ২০২২ মেগা ইভেন্টটির আয়োজন করছে।
এসি
আরও পড়ুন