৩০ শতাংশ কমেছে রিকন্ডিশন গাড়ির আমদানি (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:১০, ৬ অক্টোবর ২০২২
তিন মাসে দেশে রিকন্ডিশন গাড়ির আমদানি কমেছে ৩০ শতাংশ। ঋণপত্রের শতভাগ মূল্য পরিশোধের শর্ত ও টাকার বিপরীতে ডলারের মূল্যমান বেড়ে যাওয়ায় জাপানি পুরনো গাড়ির আমদানি কমছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জাপান থেকে গাড়ি পরিবহনের কাজে নিয়োজিত স্থানীয় শিপিং এজেন্ট জানায়, ২০২১ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানি হয়েছিল ৮ হাজার ৩৫০টি। চলতি বছরের একই সময়ে আমদানি হয় ৫ হাজার ৬৯৭টি গাড়ি। সবচেয়ে কম আমদানি হয়েছে গত মাসে মাত্র ১ হাজার ৮৫৫টি গাড়ি। যা গত বছরের তুলনায় অর্ধেক।
চট্টগ্রাম বন্দরের কার সেডে এখন গাড়ি আছে ৬শ’টি। অথচ অন্য সময়ে এই সেডে প্রতিদিন গাড়ি থাকতো ৮শ’র মতো। এখন প্রতিদিন ২০টি গাড়ি ডেলিভারি হচ্ছে অথচ স্বাভাবিক সময়ে এই গাড়ি ডেলিভারির সংখ্যা ছিল অন্তত ৫০টি।
ব্যবসায়ীরা গাড়ি আমদানি কমে যাওয়ার পেছনে দুটি কারণের কথা উল্লেখ করছেন। আমদানি মূল্য শতভাগ অগ্রিম পরিশোধ ও ডলারের বিপরীতে টাকার দাম কমে যাওয়ায় গাড়ি কেনা-বেচায় নতুন সংকট তৈরি হয়েছে। এর সঙ্গে নতুন ক্রেতা রাশিয়া রিকন্ডিশন গাড়ির বাজারে প্রবেশ করায় দাম বাড়তে থাকে।
চট্টগ্রামের গাড়ি আমদানিকারক হাবিবুর রহমান বলেন, “একটা গাড়ি আনতে ৪ লাখ টাকা লাগতো এখন ১৬ লাখ টাকা লাগছে। ৯০ টাকা ডলার ছিল এখন ১১০-১২০ টাকা হিসাব করে গাড়ি আমদানি করতে চচ্ছে।”
করোনার পর বিশ্বব্যাপী যন্ত্রাংশের উৎপাদন কমে যাওয়ায় নতুন গাড়ি উৎপাদন মারাত্মক ব্যাহত হয়েছে। নতুন গাড়ি না আসায় পুরনো গাড়ির চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে ইউরোপের নিষেধাজ্ঞার কারণে জাপান থেকে রাশিয়া রিকন্ডিশন্ড গাড়ি কেনা বাড়িয়ে দেয়। এতে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশের গাড়ি রপ্তানিকারকরা।
জাপানের টোকিও’র রপ্তানিকারক সোহেল আহমদ চৌধুরী বলেন, “সেমি-কন্ডাক্টের যে চীপটা গাড়িতে ব্যবহার করা সেই চীপের প্রোডাকশন বিপুল পরিমাণে কমে গিয়েছে। যার কারণে জাপানে গাড়ির সংখ্যা দিন দিন কমছে।”
সংকটময় পরিস্থতিতে বৈদেশিক মুদ্রা ডলার সাশ্রয়ে সরকারের সতর্ক ও কৌশলী পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছে ব্যবসায়ীরা। তাই পাঁচ বছরের পরিবর্তে সাত বছর ব্যবহার করা গাড়ি আমদানির সুযোগ তৈরি হলে কম দামে কেনা-বেচা করা যাবে বলে মনে করছেন তারা।
এএইচ
আরও পড়ুন