‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের সংস্কার প্রয়োজন’
প্রকাশিত : ২১:৪৬, ১৬ অক্টোবর ২০২২
ভোক্তাদের অধিকার সুরক্ষায় আরো কঠোর আইন চায় কনজ্যুমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাব। সংগঠনটি বলছে, লঘু শাস্তির কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা পার পেয়ে যাচ্ছেন। তবে বাণিজ্য সচিব বলছেন, শুধুমাত্র কঠোর আইন ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে পারে না। বাজারে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠায় সব পক্ষকে আরো দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
দেশে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন প্রণনয় হয় ২০০৯ সালে। এ আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি তিন বছরের কারাদণ্ড সাথে দুই লাখ টাকা জরিমানা। তবে কোনো অসাধু ব্যবসায়ী বাড়তি দামে পণ্য বিক্রির মাধ্যমে শত কোটি টাকা মুনাফা করলেও, মাত্র ৫০ হাজার টাকা জরিমানায় পার পেতে পারেন।
এমন বাস্তবতায় আইনটি নিয়ে রাজধানীর টিসিবি মিলনায়তনে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এই গণশুনানি। অংশ নেন সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, উৎপাদনকারী, আমদানিকারক, বিভিন্ন খাতের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী এবং ভোক্তারা। উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিবও।
ক্যাব বলছে, ১৯৭৪ সালে বিশেষ আইনে কঠোর সাজার বিধান ছিল। সে তুলনায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অনেক দুর্বল। লঘু সাজার কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা পার পেয়ে যাচ্ছেন। ঠকছেন ভোক্তারা।
বিদ্যমান আইনের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা দেখছে ট্যারিফ কমিশনও।
ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার বলেন, "এই জেনারেশন যখন যাবে তখন যেটার রিভিউ ভালো থাকবে বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজন কমেন্ট অটোমেটিক এটা হয়ে যাবে।"
তবে কঠোর আইন আর সাজার ব্যবস্থা হলেই সব সমস্যার সমাধান হবে এমনটা ঠিক নয়, বলছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
আইন বেশি কঠোর হলে অপপ্রয়োগের আশঙ্কা থাকে বলেও জানান তিনি।
এসবি/
আরও পড়ুন