চারমাসে কৃষিপণ্যের রপ্তানি কমেছে ২৪ শতাংশ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:০৬, ২২ নভেম্বর ২০২২
অর্থবছরের প্রথম চারমাসে কৃষিপণ্যের রপ্তানি কমেছে ২৪ শতাংশ। ডলারের পাশাপাশি কাঁচামালের দাম বাড়া এবং অন্য দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় না পারায় এই নিম্নমুখী ধারা বলে জানান রপ্তানিকারকরা। কাঁচামালের আমদানি-শুল্ক কমানোর দাবি তাদের।
২০২১-২২ অর্থবছরে তৈরি পোশাকের পর যে চারটি খাত বিলিয়ন ডলার রপ্তানির মাইলফলক অতিক্রম করে, তার মধ্যে অন্যতম কৃষিপণ্য। ওই সময়ে কৃষিপণ্যের মোট রপ্তানি হয় ১১৬ কোটি ২২ লাখ ডলার। যা ছিল এর আগের ২০২০-২১ অর্থবছরের তুলনায় ১৩ দশমিক ০৪ শতাংশ বেশি।
তবে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম চার মাসের চিত্র হতাশার। এসময় মোট রপ্তানি হয়েছে ৩৫ কোটি ৩৬ লাখ ডলারের কৃষিপণ্য, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৩ দশমিক ৮১ শতাংশ কম।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধির কারণে প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ।
প্রাণ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াছ মৃধা বলেন, “চানাচুর, মশলা, বিস্কুট- এই জাতীয় প্রোডাক্ট যেটা ব্যাপক আকারে রপ্তানি করতাম। এখন ভারতের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারছিনা। কারণ, দেশে কাঁচামালের দাম অস্বাভাবিকহারে বেড়ে গেছে। কিন্তু ভারতে ওইভাবে দাম বাড়েনি। কাঁচামালের দামটা যদি সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে পারি এবং যদি শুল্ক কমানো হয় তাহলে এগ্রো খাত আবার ঘুরে দাঁড়াবে।”
পাশাপাশি চিনিগুড়া চাল রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ার কারণেও কিছুটা কমেছে কৃষি পণ্যের রপ্তানি।
ইলিয়াছ মৃধা আরও বলেন, “আমরা যদি চিনিগুঁড়া চাল রপ্তানি করতাম সমপরিমাণ ডলার দিয়ে ৫ গুণ পরিমাণ চাল আমদানি করতে পারতাম। সরকারের এটা বিবেচনা করা উচিত।”
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বলছে, এখন ব্যবসা-বাণিজ্যের খরচ কমিয়ে কী করে রপ্তানি বাজার ধরে রাখা যায়, সে চেষ্টাই করছে সরকার।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমান বলেন, “অন্য দেশ থেকে অনেক কিছু এনে সম্পৃক্ত করতে হচ্ছে। সুতরাং চেষ্টা করা হচ্ছে, ট্রেড কস্ট কমিয়ে এক্সপোর্ট ধরে রাখতে।”
করোনা মহামারির প্রকোপ কমায় ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রায় সব খাতের রপ্তানিতে বাড়তি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল, যা এখন কঠিন বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এএইচ
আরও পড়ুন