ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

আইন মেনেই বিনিয়োগ হয়েছে: এমডি, ইসলামি ব্যাংক (ভিডিও) 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪০, ৪ ডিসেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১২:৩৯, ৪ ডিসেম্বর ২০২২

সম্প্রতি দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ তুলে নেওয়ার প্রেক্ষাপটে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন ব্যাংকটির ব্যবস্থা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা। 

মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা ১৯৮৬ সালে ব্যাংকটির কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। দীর্ঘ ৩৫ বছরের ব্যাংকিং ক্যারিয়ারের পুরোটা সময়ই কাটিয়েছেন শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকটিতে।

একুশে টেলিভিশনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ব্যাংকের আস্থার জায়গায় আঘাত করতেই এ ধরনের গুজব ছড়ানো হয়েছে। 

সাক্ষাৎকারের উল্লেখযোগ্য অংশ নিচে তুলে ধরা হলো- 

ঋণ বিতরণ নিয়ে ব্যাংকটির বিরুদ্ধে সম্প্রতি যে অভিযোগ উঠেছে সে বিষয়ে আপনাদের অবস্থান সম্পর্কে বলুন। 

মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা: ব্যাংকিং সেক্টর কম্পিলিটলি বেইজড অন ট্রাস্ট। এই ট্রাস্টের জায়গাটাকে ওরা বেছে নিয়েছে। ট্রাস্টের জায়গায় যদি আঘাত করা যায় তাহলে অর্থনীতির অনেক কিছুকে নড়বড়ে করে দেওয়া যেতে পারে। তবে সেই যাত্রা অবশ্যই তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। কারণ বাংলাদেশের রুট লেভেলের জনগণ এই ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত। 

ইসলামী ব্যাংকের কথা যদি বলি, আমাদের ব্যাংকের গ্রাহকের সংখ্যা ১ কোটি ৯০ লাখ। তাদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা যদি হিসাব করা হয় তাহলে ৮ কোটি লোক সরাসরি ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে সম্পৃক্ত। যে গুজবটা রটনা করা হয়েছে সেটা ফেইক একটা গুজব। কোনো বেইজ নাই এরকম একটা গুজব ছড়ানো হয়েছে।

যে বিনিয়োগ নিয়ে কথা উঠেছে সে বিষয়ে আপনাদের বক্তব্য?

মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা: ইসলামী ব্যাংকের একটি হিস্টোরিক্যাল কালচার আছে। আমরা সেন্ট্রাল ব্যাংক এবং আমাদের ব্যাংকের নিজস্ব পলিসি অনুযায়ী বিনিয়োগ করে থাকি। আর আইন মেনেই বিনিয়োগগুলো করা হয়েছে।

এই বিনিয়োগের কারণ সম্পর্কে কিছু বলুন

মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা: এটা কেন করেছি কারণ, করোনার পরে ইমপোর্ট অনেক বেড়েছে, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দেশের কোনো জায়গায় যেন খাদ্যের সংকট না থাকে- সেটি নিশ্চিত করার জন্য আমরা খাদ্যদ্রব্যের আইটেমগুলো ইমপোর্ট করেছি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছানোর জন্য আমরা লোকাল ট্রেডারদের ফাইন্যান্স করেছি।

ফাইন্যান্সটা আমরা সেই উদ্দেশ্যে করেছি, যাতে দেশে কোনো হাহাকার না থাকে। সহজ একটি উদাহরণ দেই, কিছুদিন আগে যেটি আমাদের অত্যন্ত প্রয়োজন দ্রব্য চিনির সংকট শুরু হলো। আমাদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, চিনি আমদানি করতে হবে। আমরা চিনি আমদানি করেছি। যদি সেই কাজটা আমরা না করতাম তাহলে আজকে কি অবস্থা দাঁড়াত? আপনার পকেটে টাকা থাকলেও চিনি খুঁজে পেতেন না। অথবা এমনও হতে পারত, আজকে যেটা ১০০ টাকা সেটি হয়তো ৫০০ টাকায় বিক্রি হতো।

গ্রাহকদের আমানত ও আপনাদের  বিনিয়োগ কতটা সুরক্ষিত?

মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা: ইসলামী ব্যাংকিংয়ের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে অ্যাসেট ব্যাকড বিনিয়োগ, যা প্রচলিত ব্যাংকঋণের চেয়ে বেশি সুরক্ষিত। সমাজের প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিয়ে এবং গ্রাহকের সততা ও পূর্ব রেকর্ড, উদ্যোগের প্রাসঙ্গিকতা, জামানতের যথার্থতা ইত্যাদি অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করেই ইসলামী ব্যাংক বিনিয়োগ প্রকল্প বাছাই করে। তাই ইসলামী ব্যাংকের বিনিয়োগ ঝুঁকি সবসময়ই সর্বনিম্ন থাকে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে আপনাদের করনীয় কী?

মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা: এই অবস্থায় ইসলামী ব্যাংক সব সময় দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখছে এবং সেই ভূমিকা অব্যাহত থাকবে।

এএইচ/ এএইচএস
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি