রমজানে সরবরাহ ও বাজার নিয়ন্ত্রণে নানামুখী উদ্যোগ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:০৭, ১৭ ডিসেম্বর ২০২২
রমজানে নিত্যপণ্যের সরবরাহ ও বাজার নিয়ন্ত্রণে নানামুখী উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। প্রাথমিকভাবে জোর দেয়া হচ্ছে আমদানি বাড়ানোর ওপর। ইতোমধ্যেই ৮টি পণ্যে শিথিল করা হয়েছে এলসি মার্জিন। ব্যবসায়ীদের সুযোগ দেয়া হয়েছে ক্রেডিট বা বাকিতে পণ্য আমদানির।
রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে আমদানি-ব্যয় হ্রাসে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এলসি বা ঋণপত্র খোলায় বাড়ানো হয়েছে মার্জিন। জরুরি নয় এমন পণ্যের এলসিতে বেশ কঠোর বাংলাদেশ ব্যাংক।
এমন বাস্তবতায় সম্প্রতি ভোজ্যতেল, ছোলা, মটর, খেজুর, চিনিসহ ৮টি পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে এলসি মার্জিন শিথিল করেছে কেন্দ্রিয় ব্যাংক। সুযোগ দেয়া হয়েছে ক্রেডিট বা বাকিতে পণ্য আমদানির।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, রমজানে চাহিদা মতো পণ্যের যোগান নিশ্চিত করা জরুরি। এক্ষেত্রে সরকার যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে তা ইতিবাচক।
অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, “রমজানকে সামনে রেখে সেই দ্রব্যগুলোর ক্ষেত্রে যতোটা নমনীয় হওয়া যায় সেটা করতে হবে সরকারকে। এলসি ও শুল্কমুক্তের ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে।”
দেশে বছরে চিনির চাহিদা প্রায় ২০ লাখ টন। যার প্রায় ৯৫ শতাংশই আমদানি-নির্ভর। রজমানে চিনির চাহিদাও থাকে তুলনামূলক বেশি।
এছাড়া বাৎসরিক ২ লাখ ৩০ হাজার টন ছোলার চাহিদার বড় অংশই খরচ হয় রমজানে। খেজুরের ক্ষেত্রেও একই চিত্র। বছরে খেজুরের চাহিদা প্রায় ৪০ হাজার টন। এরমধ্যে রমজানেই চাহিদা তৈরি হয় ৩০ হাজার টন।
এদিকে, রমজানে ভোজ্যতেলের চাহিদাও থাকে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। বছরে প্রায় ২৪ লাখ টন চাহিদার ৮৮ ভাগই আমদানি করতে হয়।
এছাড়া রমজানে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, জিরা, এলাচসহ বিভিন্ন ধরনের মসলার চাহিদাও বেড়ে যায়।
অর্থনীতিবিদনরা বলছেন, রমজানের পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে যে ধরনের নীতিসহায়তা দেয়া হচ্ছে, তার সুফল যাতে সবাই পান, সেদিকে নজর রাখতে হবে।
অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, “অতীতে দেখে আসছি কিছু নির্দিষ্ট ডিলারের মাধ্যমে করা হয়। আমরা যদি এটা ওপেন করে দেই, আরও যারা ছোট ছোট আমদানিকারক আছেন তারা যদি এই সুযোগটা পায় তাহলে বাজারে সরবরাহ বেড়ে যাবে। তখন দামটা সহনীয় পর্যায়ে থাকার সম্ভাবনা থাকে।”
সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে আসন্ন রমজানে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে আশা করছেন অর্থনীতিবিদরা।
এএইচ
আরও পড়ুন