ঢাকা, সোমবার   ০৩ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

‘চিনির মূল্য মনিটরিংয়ে অভিযান আগামী সপ্তাহ থেকে’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫৮, ১২ মে ২০২৩

Ekushey Television Ltd.

বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে নির্ধারিত মূল্যে বাজারে চিনি বিক্রয় করা হচ্ছে কি-না, তা মনিটরিংয়ে আগামী সপ্তাহ থেকে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থনৈতিক ও বৈশ্বিক বিষয়াবলী বিষয়ক ডেপুটি  সেক্রেটারি জেনারেল হেলেনা কনিগের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী একথা জানান। 

টিপু মুনশি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, খোলা চিনি প্রতি কেজি ১২০ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি প্রতি কেজি ১২৫ টাকায় ভোক্তাদের নিকট বিক্রয় করার জন্য বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স এসোসিয়েশনসহ ব্যবসায়ীদের জানানো হয়েছে। তারা এই মূল্যে বাজারে বিক্রি করছে কি-না, তা  দেখার জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

বাজারে পিঁয়াজের দাম অল্প কিছুদিনের ব্যবধানে অনেক বেড়েছে, এ ব্যাপারে সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে টিপু মুনশি বলেন, দাম যদি এভাবে বাড়তে থাকে তাহলে ভারত থেকে পিঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেয়া হবে। দেশীয় পিঁয়াজ উৎপাদন পর্যাপ্ত হওয়ায় আমদানি কমিয়ে দেয়া হয়েছে। বাজার পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যদি পিঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে, তাহলে আমদানি করা হবে। 

তেলের মূল্য কমানো হবে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তেলের মূল্য মূলত বৃদ্ধি পেয়েছে শুল্কছাড় প্রত্যাহারের কারণে। আমরা মন্ত্রণালয় থেকে এনবিআরকে চিঠি দিয়েছিলাম শুল্কছাড় অব্যাহত রাখার জন্য, কিন্তু তারা তা করেননি। যার জন্য তেলের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রয়োজনে আমরা আবার চিঠি দিবো। সামনে বাজেট আছে, এটি নিয়ে আমরা কাজ করছি।

এর আগে, ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেলের সাথে বৈঠক সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশের বাজারে ২০৩২ সাল পর্যন্ত এভরিথিং বাট আর্মস-ইবিএ স্কিমের আওতায় বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে প্রায় পাঁচ দশকের অংশীদারিত্ব উন্নয়ন সহযোগিতার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। ইইউর সঙ্গে বর্তমানে একটি শক্তিশালী বাণিজ্য অংশীদারিত্ব তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের মোট বিশ্ব রপ্তানির অর্ধেকের বেশি ইইউভুক্ত দেশগুলোতে যায়। এলডিসি উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

বৈঠকে ইইউ ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেলকে টিপু মুনশি জানান, বিশ্বের শীর্ষ ১০টি সবুজ কারখানার মধ্যে নয়টি এবং শীর্ষ ১০০টি সবুজ শিল্প প্রকল্পের মধ্যে ৪৮টি বাংলাদেশে রয়েছে। আরো ৫৫০টি কারখানা খঊঊউ সার্টিফিকেশন পাওয়ার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল দ্বারা প্রত্যায়িত ১৯২টি গ্রিন গার্মেন্টস কারখানাও রয়েছে বাংলাদেশে। এছাড়া, বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই শ্রম অধিকার নিশ্চিত করতে টেকসই কমপ্যাক্ট সম্পন্ন করেছে এবং কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ডে কেয়ার ইত্যাদি নিশ্চিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে বলেও জানান।

সাক্ষাৎকালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থনৈতিক ও বৈশ্বিক বিষয়াবলি বিষয়ক ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল হেলেনা কনিগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, তাঁর গৃহীত পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে।  সাক্ষাৎকালে, ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র: বাসস

এসবি/ 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি