দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেট পেশ আগামীকাল
প্রকাশিত : ২০:৪৯, ৩১ মে ২০২৩ | আপডেট: ২০:৫২, ৩১ মে ২০২৩
বিশ্ব অর্থনীতি টালমাটাল; দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি; সামনে জাতীয় নির্বাচন; এসব বিবেচনায় নিয়েই কাল ঘোষণা করা হবে ইতিহাসের বড় বাজেট। আকার হতে পারে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ৫ লাখ কোটি টাকা। তবুও ঘাটতি থাকছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। যা পূরণ হবে দেশি-বিদেশি ঋণে। বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ৭ শতাংশ। ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে নামাতে চায় সরকার।
এক নতুন পরিস্থিতিতে বিশ্ব অর্থনীতি। করোনার মহামারি পর ইউক্রেন যুদ্ধ বদলে দিয়েছে হিসেব-নিকেষ। বিশ্বজুড়েই অস্বাভাবিক বেড়েছে পণ্য ও সেবার দাম। বাংলাদেশও পড়েছে উচ্চমূল্যস্ফীতির কবলে।
একদিকে আমদানি কমিয়ে রিজার্ভ ধরে রাখার চেষ্টা; অন্যদিকে পণ্যের উৎপাদন ও জোগান বাড়িয়ে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার চ্যালেঞ্জ। পাশাপাশি নির্বাচনী বছরে গতিশীল রাখতে হবে উন্নয়নের চাকাও।
এমন বাস্তবাতার মধ্যেই জাতীয় সংসদে উঠছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট।
আকার হতে পারে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের প্রস্তাবিত ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটির বাজেটের চেয়ে যা প্রায় ৮৪ হাজার কোটি টাকা বেশি।
নতুন বাজেটে রাজম্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ছে ১৫ শতাংশ। মোট অনুদানবাদে ৫ লাখ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করতে চায় সরকার। এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হচ্ছে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এনবিআর বহির্ভুত ২০ হাজার কোটি ও কর-বহির্ভুত আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ৫০ হাজার কোটি টাকা।
বরাবরের মত এবারও ঘাটতি থাকছে বাজেটে। আকার ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। ৩ হাজার ৯শ কোটি টাকা অনুদান সমন্বয় করলে ঘাটতি কমে দাঁড়াবে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা।
ঘাটতি পূরণে এবারও দেশি-বিদেশী ঋণের ওপরই নির্ভর করতে হচ্ছে। বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ১ লাখ ২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা, ব্যাংক-ব্যবস্থা থেকে ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র বিক্রি ১৮ হাজার এবং অন্যান্য খাত থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন অর্থমন্ত্রী।
ভর্তুকি কমানোর ঘোষণা থাকলেও নির্বাচনী বছরে এখাতে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা বেশি ব্যয় করতে চায় সরকার।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি-এডিপির জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে ১ লাখ ৭৯ হাজার কোটি টাকা অর্থায়ন হবে সরকারি তহবিল থেকে। বাকিটা পূরণ হবে বিদেশি ঋণে। চলতি অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ রাখা ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা।
এদিকে, আগামী অর্থবছরের জন্য সরকার পরিচালন ব্যয় প্রাক্কলন করেছে ৪ লাখ ৭৫ হাজার ২৮১ কোটি টাকা। আর মোট উন্নয়ন ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। মূল্যষ্ফীতিকে ৬ শতাংশে আটকে রাখার পরিকল্পনা সরকারের।
এমএম//
আরও পড়ুন