ঢাকা, রবিবার   ০৭ জুলাই ২০২৪

রাজস্ব বাড়াতে এনবিআরের সক্ষমতা বৃদ্ধির তাগিদ (ভিডিও)

তৌহিদুর রহমান

প্রকাশিত : ১৪:১০, ৩ জুন ২০২৩

প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন কঠিন হবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। বলছেন, প্রস্তাবিত মূল্যস্ফীতি ধরে রাখা আর সাড়ে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনও কঠিন। এদিকে, এনবিআরের রিফর্ম দরকার উল্লেখ করে ৫ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণকে অবাস্তব বলছেন ব্যবসায়ীরা। বাজেটের অর্থায়নে ব্যাংক খাত থেকে ঋণ বাড়ানোর প্রস্তাবে বেসরকারি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে বলে মনে করেন তারা।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।

রাজম্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ কোটি টাকা আর মোট ২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা ব্যয় হবে উন্নয়ন খাতে। প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাড়ে ৭ শতাংশ,  মূল্যস্ফীতি আটকে ৬ শতাংশে রাখতে চান অর্থমন্ত্রী।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের কাঁচামাল আমদানী খরচ এবং ডলারের মূল্যমান বেড়ে যাওয়ায় সামগ্রীক রপ্তানি কম। এর ফলে চলতি অর্থবছরে প্রাক্কলিত মোট ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় সম্ভব হচ্ছে না। এই অবস্থায় ৫ লাখ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ও সম্ভব হবে না বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা।

ডিসিসিআই সাবেক সভাপতি সামস মাহমুদ বলেন, “রেভ্যুনির যে লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে এটা অনেক হাই। এটার কারণে ব্যবসায়ীদের খরচ আরও বেড়ে যাবে।”

অর্থনীতিবিদ ড. মনজুর হোসেন বলেন, “মূল্যস্ফীতিকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে ধরে নিয়ে বড় ধরনের বরাদ্দের দরকার ছিল। সেটা খুব বেশি নাই। অন্যদিকে সরকারের আয় বাড়ানোর প্রক্রিয়াটাও পরিষ্কার নয়।”

পরিসংখ্যান বলছে, গেলো ৫ অর্থবছর ধরে ব্যক্তিখাতের বিনিয়োগ জিডিপির ২৩ থেকে ২৪ শতাংশের মধ্যে আটকে আছে। ফলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও মানুষের আয় কাঙ্খিত হয়নি। প্রস্তাবিত বাজেটের অর্থায়নে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ১ লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকারও বেশি ঋণ নেয়া হলে বেসরকারি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।

সামস মাহমুদ বলেন, “গত কয়েক মাসে ধরে প্রাইভেট সেক্টরে ক্রেডিট লোন কমছে। যে লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে বা বাজাটে যে আকারটা দিয়েছে তাতে ব্যাংকগুলো থেকে সরকারকে লোন নিতে হবে। প্রাইভেট সেক্টরও লোনের জন্য ব্যাংকের কাছে যাবে। সেক্ষেত্রে ব্যাংক তো আমাদের দিবে না।”

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সুনির্দিষ্ট দিক নিদের্শনার দাবি জানান অর্থনীতিবিদরা।

ড. মনজুর হোসেন বলেন, “স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে খুব বেশি কিছু দিক নির্দেশনা দেখেনি। তার মধ্যে চোখে পড়েছে, মোবাইল ফোন দেশীয় যে উৎপাদন হচ্ছে তাতেও কর বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে আমদানি ক্ষেত্রেও মূল্য বৃদ্ধি হবে। এই জায়গাটায় আমি বলতে চাই, দেশীয় উৎপাদন মোবাইল ফোনের উপর কর বসানোটা ঠিক হবেনা।”

কৃষিতে দেয়া ভর্তুকি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। 

সামস মাহমুদ বলেন, “কৃষক ভাইরা যে আউটপুটটা দিচ্ছেন তাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে, ভর্তুকি দেয়া হয়েছে।”

রাজস্ব বাড়াতে এনবিআরের সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted







© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি