পোশাক শ্রমিকদের ন্যুনতম মজুরি ঘোষণা নভেম্বরে (ভিডিও)
প্রকাশিত : ২১:০৮, ৮ অক্টোবর ২০২৩
তৈরি পোশাক খাতের নুন্যতম মজুরি ১৭ হাজার ৫৬৮ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি। বিদেশি ক্রেতারা পোশাক প্রতি গড়ে ৭ সেন্টস মূল্য বাড়ালেই বাড়তি এই মুজুরি দিতে মালিকদের কোনো সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি। তবে ক্রেতারা পোশাকের মূল্য বাড়াতে রাজি হবে কি-না, সে নিয়ে সংশয় মালিক পক্ষের। এদিকে, ওয়েজ বোর্ড চেয়ারম্যান জানালেন, আসছে নভেম্বরে পোশাক শ্রমিকদের ন্যুনতম মজুরি ঘোষণা করা হবে।
২০১৮ সালে পোশাক শ্রমিকদের নুন্যতম মজুরি ৮ হাজার টাকা করা হয়। তবে ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়নগঞ্জ ও গাজীপুরের ৭৬টি কারখানার ২২৮ শ্রমিকের ওপর জরিপ চালিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডি বলছে, কিছু কারখানা এখনও সেই মজুরি কাঠামো বাস্তবায়ন করেনি। পাশাপাশি এখাতের নুন্যতম মজুরি প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম। এমন অবস্থায় গেল এপ্রিলে গঠন হয়েছে মজুরি বোর্ড।
মালিকরা এখনও পর্যন্ত কোন প্রস্তাবনা না দিলেও শ্রমিক সংগঠনগুলোর এরই মধ্যে নুন্যতম মজুরি কমপক্ষে ২৩ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়েছে। সিপিডির গবেষণা বলছে, শ্রমিকের পরিবারের মাসিক খাবার খরচ ১৬ হাজার ৫২৯ টাকা ও অন্যান্য ব্যয় ১২ হাজার ৮৮১ টাকা, সঙ্গে মূল্যস্ফীতি ও সঞ্চয় বিবেচনায় নিলে পোশাক শ্রমিকের ন্যুনতম মজুরি ১৭ হাজার ৫৬৮ টাকা হওয়া উচিত।
সিপিডি গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, “আমরা ন্যুনতম মজুরি প্রস্তাবনা রেখেছি ১৭ হাজার ৫৬৮ টাকা।”
সিপিডিকে ধন্যবাদ জানালেও তাদের প্রস্তাবের সাথে দ্বিমত শ্রমিক সংগঠনগুলোর। পাশাপাশি বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ ও শ্রমিকদের রেশন সুবিধা দেয়ার দাবি তাদের।
শ্রমিক নেতা মন্টু ঘোষ বলেন, “সিপিডি চিন্তাভাবনা করে যে কথাটা বলেছে তার সাথে আমাদের দাবিটা এক হয়নি।”
শ্রমিক নেতা সিরাজুল ইসলাম রনি বলেন, “মজুরি যা কিছু বাড়ুক না কেন তখন বাড়ি ভাড়াটা বাড়িয়ে দেওয়া হয়।”
বেতন বাড়ালে সে অনুযায়ী বিদেশি ক্রেতারা পোশাকের দাম বাড়াবে কিনা তা নিয়ে সংশয় শিল্প মালিকদের। এজন্য শিল্পের সক্ষমতাকে বিবেচনায় নিয়ে বেতন কাঠামো ঘোষণার দাবি তাদের।
বিজিএমইএ সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “ওপেন মার্কেট ইকোনমিতে যার যখন প্রয়োজন যেখানে সেখান থেকেই সেই জিনিসটা কিনে।”
মজুরি বোর্ড বলছে, সবার সক্ষমতাকে বিচেনায় নিয়েই নভেম্বরের মধ্যে আসছে নতুন মজুরি কাঠামো।
মিনিমাম ওয়েজ বোর্ড চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা বলেন, “হয়তো এ মাসের শেষের দিকে আরেকটি মিটিং হবে এবং সেখানে উভয়পক্ষ প্রস্তাবনা দাখিল করবে, আলোচনা হবে। হয়তো নভেম্বরে একটা গ্রহণযোগ্য বেতন কাঠামো ঘোষণা করতে পারবো।”
এরই মধ্যে কিছু কারখানা পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, বেতন বাড়ালে ছোট অনেক কারখানা সংকটে পড়তে পারে।
এএইচ
আরও পড়ুন