চীনের সঙ্গে সরাসরি লেনেদেনে যাচ্ছে বাংলাদেশ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:১৮, ৩০ মার্চ ২০২৪
চীনের সঙ্গে সরাসরি লেনেদেন যাওয়ার কথা ভাবছে বাংলাদেশ। সুইফটের আদলে গড়ে ওঠা চীনা সিআইপিএসে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে চলছে আলোচনা। এছাড়া রপ্তানি আয়, ঋণ ও প্রকল্প-সহায়তা যথাসম্ভব ইউয়ানের নেয়ার বিষয়টিও রয়েছে সক্রিয় বিবেচনায়। রিজার্ভ ধরে রাখার পাশাপাশি চীনা বিনিয়োগ বাড়াতে এসব উদ্যোগ ইতিবাচক বলছেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা।
চীনের সঙ্গে দেশটির মুদ্রা ইউয়ানে সরাসরি লেনদেনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক পিপলস ব্যাংক অব চায়নায় অ্যাকাউন্ট খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। চীনের আন্তঃব্যাংক টেলিকমিউকেশন ‘ক্রসবর্ডার ইন্টারব্যাংক পেমেন্ট সিস্টেম-সিআইপিএসে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মাধ্যমে রূপপুর পরমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ঋণের অর্থ রাশিয়াকে পরিশোধ করা হবে।
গত অর্থবছরে চীন থেকে বাংলাদেশের আমদানি ছিল ২০ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু সেখানে বাংলাদেশের রপ্তানি এক বিলিয়ন ডলারের কম। ফলে ইউয়ানের যোগান নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, চীনা বিনিয়োগ ও ঋণ যদি ইউয়ানে আসে তবে ঘাটতি অনেকটাই পূরণ হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন মৃধা বলেন, “চাইনিজদের যে আপ-কামিং প্রসেসগুলো আছে তা ইউয়ানে ফাইন্যান্স করা যায় কিনা সেটা একটা চিঠি দেওয়া হয়েছে বেশ আগে। এফডিআইয়ের ক্ষেত্রে যে অ্যামাউন্ট ইউএসডিতে নিয়ে আসতে হয় সেটা যদি তারা ইউয়ানে নিয়ে আসে। যদি চাইনিজ একটা ব্যাংককে অনুমতি দেওয়া হয় যারা আসলে বাংলাদেশের জন্য এই ইউয়ানের চাহিদাটা যোগান দেবে।”
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, চীনের সাথে ইউয়ানে লেনদেন শুরুর উদ্যোগ ইতিবাচক। তবে মুদ্রাটির জোগান বাড়াতে হবে।
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবীর বলেন, “দুটি মুদ্রাতেই যাতে লেনদেনটা হয় দর কষাকষি করে সেই জায়গাটা তৈরি করতে হবে।”
এদিকে, চীনা ঋণ ইউয়ানে নেয়ার বিষয়টি রয়েছে সরকারের সক্রিয় বিবেচনায়। এ বিষয়ে মতামত পেতে অর্থ বিভাগে চিঠি দিয়েছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ। দেশের মোট বিদেশি ঋণে চীনের অংশীদারিত্ব এখনও কম। তাই এই মুহূর্তে চীনা ঋণকে দেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন না অর্থনীতিবিদরা।
এএইচ
আরও পড়ুন