ঢাকা, সোমবার   ২৪ জুন ২০২৪

মুনাফা থেকে টাকা ফেরত দেওয়া শুরু হয়েছে: ইভ্যালি এমডি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৪২, ২০ মে ২০২৪

ই-কমার্স সাইট ই ভ্যালির গ্রাহকদের আটকে যাওয়া সব টাকা ফিরিয়ে দেয়া হবে। এরই মধ্যে কেনাকাটা আবার শুরু হয়ে গেছে এবং মুনাফা থেকে টাকা ফেরত দেওয়া শুরু হয়ে গেছে বলে জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল।

রোববার ঢাকার কারওয়ান বাজারে অধিদপ্তর কার্যালয়ে ই কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগ নিষ্পত্তি এবং পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা অর্থ পরিশোধ বিষয়ে পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাসেল।

তিনি বলেন, ইভ্যালিতে গ্রাহকরা অলরেডি কেনাকাটা শুরু করেছে। আশা করছি, ইভ্যালির কোনো গ্রাহক কোনো ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হবে না। যারা আমাদের কাছে টাকা পায়, আমরা আমাদের মুনাফা থেকে ৫০ লক্ষ টাকা তাদের দিয়ে দিয়েছি। ৬ মাসের ভেতরে একটা বড় পরিবর্তন দেখবেন। আর সবার টাকা ফেরত দিতে ২ বছর সময় লাগবে।

এর আগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ই কমার্সে কেনাকাটার সময় সচেতন থাকার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, “একজন স্টুডেন্ট ই কমার্সে ১০০টি বাইক ওর্ডার করেছে। ১০০টা বাইক একজন স্টুডেন্ট নেবে, এটা সুস্থ ব্যবসা হতে পারে না। ৭০০ টাকায় কীভাবে পাকিস্তানি ড্রেস বিক্রি করে? আমেরিকার ডায়মন্ড রিং... সেখানে যদি সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে, তাহলে তো আমরা কিছু করতে পারব না।”

ইভ্যালির এমডি রাসেল বলেন, “আমরা চেষ্টা করেছিলাম একটা আইডি থেকে একটা বাইক অর্ডার করতে পারবে। কিন্তু মানুষ একাধিক আইডি দিয়ে অতিরিক্ত অর্ডার দিয়েছে। এটা আমাদের চোখ এড়িয়ে গেছে। এটা নিয়ে আমরা সচেতন থাকব।”

ই কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে গ্রাহকদের আটকে থাকা ৫৩৫ কোটির মধ্যে ৪০৭ কোটি টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে জানিয়ে সফিকুজ্জামান বলেন, “১২৭ কোটি টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী মহোদয় এটার সমাপ্তি চাচ্ছেন। আমরাও আর ঝুলন্ত অবস্থা চাচ্ছি না। এজন্যই আজকে আমাদের বসা। ৩০ জুনের মধ্যে এটির একটা সুনির্দিষ্ট উপায় বের করব। আমরা বিশ্বাস করি, ই কমার্সকে এগিয়ে নিতে হবে।”

ইভ্যালি কিছু কিছু টাকা অধিদপ্তরের মাধ্যমে দিচ্ছে, আরও কিছু দেবে জানিয়ে তিনি বলেন, “কিউকমের কিছু টাকা বাকি আছে, সেগুলো কীভাবে দিবে তাও দেখা হচ্ছে। আমরা এগুলো নিয়ে কাজ করছি।"

গেটওয়েতে টাকা না থাকলে কীভাবে দেবে- এক প্রশ্নে জবাবে সফিকুজ্জামান বলেন, “সবার দায়িত্ব বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিতে পারবে না। যেটা মানি লন্ডারিং হয়ে গেছে, সেই টাকা তো আমরা দিতে পাড়ব না।”

এএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted







© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি