শেয়ার বাজারকে ফের অস্থির করে তুলেছে সংঘবদ্ধ চক্র
প্রকাশিত : ১৩:০৪, ২১ মে ২০২৪ | আপডেট: ১৩:৩৬, ২১ মে ২০২৪
ব্যাপক দরপতনের কবলে দেশের পুঁজিবাজার। বাজেটে মূলধনী মুনাফার ওপর করারোপের গুজব এবং সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ দর হ্রাসের সার্কিট ব্রেকারকে অজুহাত বানিয়ে সংঘবদ্ধ চক্র বাজারকে ফের অস্থির করে তুলেছে। এমন অভিযোগ তুলে বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিকল্পিতভাবেই সাধারণ বিনিয়েগাকারীদের শেয়ার কম দামে হাতিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা করছে চক্রটি।
এমনিতেই নড়বরে দেশের পুঁজিবাজার। বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীই পুঁজি রক্ষায় হিমশিম খাচ্ছেন। এমন বাস্তবতায় আসছে বাজাটে মূলধনী মুনাফা বা ক্যাপিটাল গেইনের ওপর করারোপ হচ্ছে বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। আর এতেই অস্থির পুঁজিবাজার। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বলছেন, দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে।
তারা জানান, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একটা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে যে ক্যাপিটাল গেইনের উপর ট্যাক্স হলে ব্যক্তিশ্রেণী বিনিয়োগকারীরা যারা বড় অংকের বিনিয়োগ করে থাকেন তারা বিনিয়োগ থেকে সরে যাবেন। সে কারণে বাজার পতন হচ্ছে। পাকিস্তান একরকম দেউলিয়া রাষ্ট্রের মতো হয়ে গেছে, তাদের রিজার্ভ অনেক তলানিতে। তারপরও তাদের শেয়ার মার্কেট অনেক ভালো। কিন্তু আমাদেরটা কেন এরকম হচ্ছে, কাশি দিলে শেয়ার বাজার পড়ে যাচ্ছে।
বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন অধিকাংশ বিনিয়োগকারীই বাজার থেকে কোনো মুনাফাই তুলতে পারছেন না। সে ক্ষেত্রে ক্যাপিটাল গেইনের ওপর করারোপ হলেও তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কথা নয়। তবে বিষয়টিকে ইস্যু বানিয়ে একটি সংঘবদ্ধ চক্র ব্যাপক দরপতনের দিকে ঠেলে দিয়েছে বাজারকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহযোগী অধ্যাপক আল আমিন বলেন, “একটা প্রস্তাবনা একটা আলোচনা- সেটার উপর ভিত্তি করে একশ্রেণীর বিনিয়োগকারীরা প্যানিক সৃষ্টি করে ছড়িয়ে দিচ্ছে।”
এর মধ্যে বাজারে শেয়ারের মূল্য হ্রাসের ৩ শতাংশ নিম্নসীমা তুলে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে নেয়ার দাবি তুলেছে একটি পক্ষ। এটিও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে ৩ শতাংশের সার্কিট ব্রেকার তুলে নেয়া হবে আত্মঘাতি।
বাজারের এই সংকটে সুবিধাভোগী প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা অগ্রহণযোগ্য আচরণ করছে বলে মত বিশ্লেষকদের।
সহযোগী অধ্যাপক আল আমিন বলেন, “প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা যারা আছেন তারা ফেইল করেছে।”
এএইচ
আরও পড়ুন