‘মোবাইল ফোন অপারেটরদের বকেয়া রাজস্ব পরিশোধের আহবান’
প্রকাশিত : ২০:৫৭, ১৬ এপ্রিল ২০১৮
বকেয়া রাজস্ব পরিশোধ করার জন্য মোবাইল ফোন অপারেটরদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়া। সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবন সভাকক্ষে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) সঙ্গে আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর থেকে সম্পূর্ণরূপে ভ্যাট প্রত্যাহারসহ আপনাদের আরো কিছু প্রস্তাবনা রয়েছে। আপনারা এসব প্রস্তাবনা নিয়ে আমাদের সঙ্গে আলাদাভাবে বসেন। যৌক্তিক প্রস্তাবনা-ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হবে। তবে আপনাদের কাছে যে বকেয়া রাজস্ব পাওনা রয়েছে- এগুলো পরিশোধ করুণ।’
যেসব বকেয়া রাজস্বের ক্ষেত্রে মামলা রয়েছে- এগুলো দ্রুত নিস্পত্তি করতে তিনি বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তিতে (এডিআর) যাওয়ার পরামর্শ দেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমরা সবাইকে এডিআরে যাওয়ার ব্যাপারে উৎসাহ দিচ্ছি। মামলা ঝুলিয়ে রেখে আমরা যেমন রাজস্ব আহরণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি, আপনারাও তেমনি ব্যবসা পরিচালনায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। দু’পক্ষেরই মামলা পরিচালনায় খরচ করতে হয়। এজন্য আমরা আদালত এড়ানোর চেষ্টা করছি। যতটা সম্ভব সহনীয়ভাবে এডিআরের মাধ্যমে মামলা নিস্পত্তি করা হবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, বর্তমানে মোবাইল ফোন অপারেটরদের কাছে এনবিআরের এক হাজার কোটি টাকার ওপরে রাজস্ব বকেয়া রয়েছে।
অ্যামটব নেতৃবৃন্দ আগামী বাজেটে ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর থেকে ভ্যাট সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহারের দাবি করেন। তারা বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর থেকে ভ্যাট তুলে নেওয়া হলে তা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটরর ‘রবি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহার থেকে ভ্যাট তুলে নিলে খরচ কমবে এবং ইন্টারনেট ডেটার ব্যবহার বাড়বে। তাতে সরকারের সামগ্রিক আয় বৃদ্ধি পাবে।
অ্যামটবের পক্ষ থেকে করপোরেট করহার হ্রাস এবং দ্বৈত কর প্রত্যাহারের প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।
এর আগে এনবিআর চেয়ারম্যান বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ বেভারেজ ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিবিএমএ) সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশ নেন।
দেশীয় সিরামিক শিল্পখাতের সুরক্ষায় স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। একইসঙ্গে সিরামিক শিল্পের কাঁচামাল ও উপকরণের ওপর আমদানি শুল্ক হ্রাস এবং আন্ডার-ইনভইসিংজনিত কারণে ট্যারিফ মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। বাসস
আর
আরও পড়ুন