৫ লাখ ২৬ হাজার নতুন করদাতা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন
প্রকাশিত : ২২:০৫, ২৭ এপ্রিল ২০১৮
চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রাজস্ব জালের আওতায় ৫ লাখ ২৬ হাজার নতুন করদাতা সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। দশ মাসেই এই লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম হয়েছে। বাকী ২ মাসে নতুন করদাতা সনাক্তকরণে বাইরের জরিপের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ জরিপ পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
বৃহস্পতিবার এনবিআরের সদস্য (কর জরিপ ও পরিদর্শন) ড. মাহবুবুর রহমান জানান, ২ মাস বাকী থাকতেই চলতি অর্থবছরের নতুন করদাতা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। ৫ লাখ ২৬ হাজার নতুন করদাতা সংগ্রহের বিপরীতে আজ পর্যন্ত ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৮৯১ জন করদাতা খুঁজে পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে বলে নতুন করদাতা সংগ্রহের কার্যক্রম আমরা বন্ধ রাখব না। বরং এই কার্যক্রম আরও বেগবান করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কারণ করজালে যত নতুন করদাতা যুক্ত হবে- রাজস্ব আয় তত বাড়বে। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে বাকী ২ মাসে আরও অন্তত এক লাখ নতুন করদাতা খুঁজে বের করতে চাই।
ইতোমধ্যে নতুন করদাতা সনাক্তকরণে বাইরের জরিপের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ জরিপ পরিচালনার নিদের্শনা দিয়ে বিভিন্ন করাঞ্চলে চিঠি পাঠিয়েছে এনবিআর।
ড. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, চলতি করবর্ষে ২ মাসের মত সময় বাকী রয়েছে। নতুন করদাতা সনাক্তকরণ কার্যক্রম বেগবান করতে বাইরের জরিপের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ জরীপ কার্যক্রম পরিচালনা করা একান্ত আবশ্যক। কেননা বর্তমানে বিভিন্ন সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে অসংখ্য পাকা গৃহসম্পত্তি, ফ্ল্যাট, এ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স, বাণিজ্যিক স্পেস এবং বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স নির্মিত হয়েছে। তবে এসব গৃহসম্পত্তির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক করজালের বাইরে রয়ে গেছে। এর মধ্যে একক মালিকানাধীন বিপুল সংখ্যক গৃহসম্পত্তি রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা এসব গৃহস্পত্তিকে করজালের আওতায় আনরা উদ্যোগ নিয়েছি। এজন্য সেকেন্ডারি সোর্স থেকে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ জরিপ কার্যক্রম জোরদার করা হবে। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ ও রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক থেকে তথ্য সংগ্রহ এবং চাকরিজীবির কর্মরত প্রতিষ্ঠানের বেতন পরিশোধের রিটার্ন ফরম যাচাই করবো।
করাঞ্চলে পাঠানো চিঠিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, এনবিআর কর আদায়ের পেছনে ছুটতে চায় না। করদাতার পেছনে ছুটতে চায়। আমরা করবান্ধব পরিবেশ তৈরি করেছি। এখন করদাতাকে কর প্রদানের পথে আনতে হবে। কারণ আমরা বিশ্বাস করি-করদাতা খুঁজে বের করা সম্ভব হলে রাজস্ব আয় সহজেই বাড়বে।
বর্তমানে দেশে ইলেকট্রনিক কর সনাক্তকরণ নম্বর (ই-টিআইএন) ধারীর সংখ্যা ৩৪ লাখ ৬০ হাজার। চলতি করবর্ষে এই সংখ্যা ৩৫ লাখের ওপরে চলে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন তিনি। (সূত্রঃ বাসস)
কেআই/এসি
আরও পড়ুন