অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের বিকল্প প্রস্তুত রয়েছে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
প্রকাশিত : ১৯:৪৭, ১৮ জুলাই ২০১৮
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, বিদেশি ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স চলে গেলে আমাদের বিকল্প ব্যবস্থা প্রস্তুত রয়েছে। এ বছরই শেষ হচ্ছে পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নয়নে নিয়োজিত এ সংগঠনগুলোর কার্যক্রম।
মঙ্গলবার রাজধানীর দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকার পূর্বাণী হোটেলে আয়োজিত এক সভাপরবর্তী সংবাদ সম্মেলন তিনি একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের নিরাপত্তা, কর্মপরিবেশ উন্নয়ন ও কারখানা সংস্কারের কাজ করা ইউরোপীয় ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদের এই সংগঠন দুটির অনুপস্থিতিতে সব ধরণের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সংস্কার সমন্বয় সেল (আরসিসি) পুরোপুরি প্রস্তুত।
“অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সে যারা কাজ করেছেন তাদের অধিকাংশই বাংলাদেশি, তারাই এখন সংস্কার সমন্বয় সেলের হয়ে কাজ করবেন। যার ফলে এখন সংগঠন দুটির আর প্রয়োজন কোথায়? তবে তারা চাইলে আরসিসির অধীনে কাজ করতে পারবেন।”
ভবিষ্যতে পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট সব ধরণের সমস্যা মোকাবিলায় আরসিসি প্রস্তুত বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
“আরসিসির সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ব্জরুরিভাবে অ্যাডহক ভিত্তিতে ৬০ জন প্রকৌশলী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিতে আলাদা কমিটিও করা হয়েছে। মালিকদের প্রভাবমুক্ত হয়ে কাজ করবে আরসিসি। চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি ভবিষ্যতে রানা প্লাজার মতো কোনো ঘটনার সৃষ্টি হবে না।”
অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের নির্ধারিত কাজ (২ হাজার ৫৫৯টি কারখানা সংস্কার) এরই মধ্যে প্রায় শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। হাই কোর্ট নির্দেশনা দিয়েছে, তারা আগামী ডিসেম্বরের পর এদেশে আর কার্যক্রম চালাতে পারবে না।
২০১৩ সালে ভয়াবহ রানা প্লাজা ধসের পর পোশাক শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও কারখানার সংস্কার ও পরিবেশের উন্নয়নে যথাক্রমে ইউরোপীয় ও আমেরিকান ক্রেতাদের সংগঠন অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স গঠিত হয়। প্রাথমিকভাবে ৩ হাজার ৭৮০টি কারখানা মূল্যায়নের ভার পরে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের উপর।
‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অব রেমেডিয়েশন কো-অর্ডিনেশন সেল (আরসিসি): শেয়ারিং প্রোগ্রেস অ্যান্ড ওয়ে ফরোয়ার্ড’ শীর্ষক এই সভায় প্রধান অতিথি বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয়েছিল, যা এ বছরের ডিসেম্বরে শেষ হতে যাচ্ছে। এটি আর বাড়ানো হবে না।
সভায় ঢাকায় নিযুক্ত বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেনসি তিরিংক, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লিকেন, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানসহ তৈরি পোশাক শিল্পের বিদেশি ক্রেতা প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এসি
আরও পড়ুন