কোরবানিতে ঢাকায় বসছে ২৩ পশুর হাট
প্রকাশিত : ১৭:০১, ২৯ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১৭:০৭, ২৯ জুলাই ২০১৮
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীতে দুই সিটিতে এবার ২৩টি পশুর হাট বসছে। হাটগুলোর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৩টি এবং উত্তর সিটি করপোরেশনে ১০টি হাট বাসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুই সিটি করপোরেশন গত বছর ২০টি হাট ইজারা দিয়েছিলো।
এরইমধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ১৩টি হাটের বিপরিতে টেন্ডার আহবান করলেও প্রথম দফায় সাতটি হাটের বিপরীতে কোন দরপত্রই জমা পড়েনি। আর বাকি ছয়টির মধ্যে দুটিতে মাত্র একটি করে দরপত্র জমা পড়ে।
ডিএসসিসির সম্পত্তি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, যে সাতটি হাটের বিপরীতে কোন দরপত্র জমা পড়েনি ওইসব হাটের জন্য দরপত্র বিক্রি হয় ২০টি। এর মধ্যে মেরাদিয়া বাজার সংলগ্ন খালি জায়গার হাটের জন্য সাতটি, ব্রাদার্স ইউনিয়নের বালুর মাঠ ১টি, কমলাপুর স্টেডিয়ামের আশেপাশের খালি জায়গার জন্য ১টি, আরমানিটোলা খেলার মাঠ সংলগ্ন খালি জায়গার জন্য ৬টি, ধুপখোলা ইষ্ট অ্যান্ড ক্লাব মাঠ সংলগ্ন খালি জায়গার জন্য ১টি, দনিয়া কলেজ মাঠ সংলগ্ন খালি জায়গার জন্য চারটি দরপত্র কেনা হয়। তবে সাদেক হোসেন খোকা মাঠের আশেপাশের খালি জায়গার হাটের বিপরীতে কোন দরপত্র কেনেনি কেউ।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আব্দুল মালেক বলেন, নিয়মের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। নিয়ম মেনেই হাট ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হাট ইজারা সম্পন্নের মাধ্যমে সিটির সব হাটকে কোরবানীর পশু বেচা-কেনার উপযোগি করা হবে। এ থেকে আহরিত অর্থ সরকারি কোষাগারেই জমা হবে বলে আশা করছি।
এদিকে যে ছয়টি হাটের বিপরীতে দরপত্র জমা পড়েছে সেখানে অনেকে দরপত্র কিনে জমা দিতে পারেননি। কামরাঙ্গীরচর হাটের জন্য ৩টি দরপত্র কিনলেও জমা পড়ে মাত্র একটি, শ্যামপুরে হাটের জন্য ৫টি দরপত্র বিক্রি হলেও জমা পড়ে একটি, রহমতগঞ্জ হাটের জন্য ৪টি বিক্রি হলেও জমা পড়ে তিনটি, পোস্তাগোলা হাটের জন্য সাতটি বিক্রি হলেও জমা পড়ে পাঁচটি, ঝিগাতলার জন্য সাতটি বিক্রি হলেও জমা পড়ে পাঁচটি। তবে শাজাহানপুর হাটের জন্য চারটি দরপত্রের সবগুলোই জমা পড়েছে। একইভাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন প্রথমে সাতটি হাটের টেন্ডার আহবান করলেও একটি হাটের বিপরীতে কোন দরপত্রই জমা পড়েনি। অন্যগুলোতেও অল্প সংখ্যক দরপত্র জমা পড়ে।
ডিএনসিসি নতুন করে আরো তিনটি হাটের টেন্ডার আহবানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নিয়মানুযায়ী প্রথম দফা টেন্ডার আহবানের পর ইজারাদার না পাওয়া গেলে আরো দুবার টেন্ডার আহবান করা হয়। তিন দফা টেন্ডার আহবানের পর কোন ইজারাদার না পাওয়া গেলে তখন খাস আদায় করে সিটি করপোরেশন। এজন্য স্থানীয় লোকদের উপরই দায়িত্ব দেওয়া হয়। তখন যা আয় হয় খরচ বাদে সে টাকা সিটি করপোরেশনে জমা হয়।
উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দরপত্র আহ্বান করা হয়। জমা পড়া দরপত্রের কাগজপত্র ঠিক থাকলে শীর্ষ দরদাতাকে ইজারা দেওয়া হয়। এবার ৭টি হাটের মধ্যে একটিতে কোনো দরপত্রই জমা পড়েনি বলেও জানান তিনি। নতুন করে আরো ৩টি হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই হাটগুলোর জন্য সিডিউল ও দরপত্র বিক্রির জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।
এদিকে রাজধানীতে হাটের প্রকৃত সংখ্যা সম্পর্কে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এবার রাজধানী ঢাকায় ২৯টি পশুর হাট বসবে। হাটের জায়গা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে। তবে ২৩টি হাটের অতিরিক্ত ৪টি হাটের জায়গা সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু বলেননি তিনি।
আরকে//
আরও পড়ুন