ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

রবি-দৃষ্টি বিতর্ক প্রতিযোগিতা চ্যাম্পিয়ন

চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল, ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৪৭, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বন্দর নগরী চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত ২৬তম রবি-দৃষ্টি বিতর্ক প্রতিযোগিতায় স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যথাক্রমে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল, ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ২২ সেপ্টেম্বর প্রতিযোগিতাটির সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

বিতর্ক প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে সরকারি মুসলিম হাইস্কুলকে পরাজিত করে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল, কলেজ পর্যায়ে সরকারি হাজী মুহাম্মদ মোহসিন কলেজকে পরাজিত করে ঢাকা কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে পরাজিত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

প্রতিযোগিতায় স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক নির্বাচিত হন যথাক্রমে হালিশহর ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাদিকা, চট্টগ্রাম কলেজের পুঞ্জ বড়ুয়া এবং প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নুরুল হক বাবু।  

চট্টগ্রাম শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে সমাপনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন বিতার্কিক ও রবি আজিয়াটা লিমিটেড’র ইস্টার্ন ক্লাস্টারের ক্লাস্টার মার্কেট ডিরেক্টর এ এস এম এনায়েতুর রহিম, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সানশাইন গ্রামার স্কুলের অধ্যক্ষ সাফিয়া গাজী রহমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান এবং বাংলাদেশ ডিবেট ফেডারেশন’র উপদেষ্টা ও রবি-দৃষ্টি বিতর্ক প্রতিযোগিতার আহ্বায়ক সাইফ চৌধুরী।

রবি’র ইস্টার্ন ক্লাস্টারের ক্লাস্টার মার্কেট ডিরেক্টর এ এস এম এনায়েতুর রহিম বলেন, “বিশ্বায়নের এই যুগে পৃথিবীর অনেক দেশ গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে বাজেটের বড় একটা অংশ ব্যয় করছে। আর এতে যারা ব্যর্থ হচ্ছে তারা বিশ্ব অর্থনীতিতে পিছিয়ে পড়ছে। যদি বাংলাদেশ ডিজিটাল বাস্তবায়নের ধারা অব্যহত রাখতে পারে তাহলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। এই ক্ষেত্রে তরুণ প্রজন্মকে সমাজে কার্যকর ভূমিকা পালন করার জন্য যুক্তিসঙ্গত ও সৃজনশীল চিস্তাভাবনার অনুশীলন করতে হবে।”

ড. আদনান মান্নান বলেন, “গত ২৬ বছর ধরে দৃষ্টি বিতর্কের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। বিতর্ককে গুরুত্ব দিয়ে নিরলস প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে আমাদের সমাজে উদীয়মান বিতার্কিক তৈরি করতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে সংগঠনটি। একজন বিতার্কিক হয়তো বিতর্ক করে টাকা আয় করতে পারেন না; তবে এটি তাদের মনকে বিকশিত করে এবং বিশ্ব সম্প্রদায়কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে সহায়তা করে।”

দৃষ্টি’র সভাপতি মাসুদ বকুল বলেন, “প্রতিযোগিতায় অংশগ্রগণকারীদের অভিভাবকদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। তাদের সমর্থন ও উৎসাহ ছাড়া আমরা সফলভাবে বছরের পর বছর এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে পারতাম না। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা জাতির সামনে সৃষ্টিশীল, যুক্তিসঙ্গত, সংবেদনশীল ও মানবিক তরুণ প্রজন্ম গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।”

এসি

 
  


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি