বেড়েছে মুরগি-সবজির দাম
প্রকাশিত : ১৪:২৫, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | আপডেট: ১৪:২৯, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
রাজধানীর বাজারগুলোতে শীতের সবজি কমে যাওয়ায় অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে সবজির দাম। আর গত একমাসে টানা বেড়েই চলেছে মুরগির দাম। জানুয়ারির মাঝামাঝিতে বয়লার মুরগি ছিল ১২০ টাকা কেজি। আর এক মাসের ব্যবধানে তা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬০ টাকায়। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ, গরু ও খাসির মাংসের দাম।
শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, মিরপুর-১, কাজিপাড়া ও শেওড়াপাড়া বাজার ঘুরে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
মিরপুর-১ ও কাওরান বাজারে বয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ১৪৫ টাকা থেকে ১৫০ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। আর বয়লারের পাশাপাশি বেড়েছে লাল লেয়ার মুরগির দাম। লাল লেয়ার মুরগি আগের সপ্তাহে বিক্রি হয় ১৯০ টাকা থেকে ২০০ টাকায়। তা এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা থেকে ২১০ টাকায়। অর্থাৎ দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। আর আগের সপ্তাহের মতোই পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে।
এ দিকে মুরগির দামের বিষয়ে মিরপুর-১ নম্বরের ব্যবসায়ী সবুজ হোসেন বলেন, প্রায় এক মাস ধরে মুরগির দাম বাড়ছে। যে পরিমাণ চাহিদা রয়েছে, সে হারে ফার্ম থেকে সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণেই হয়তো বয়লার মুরগির দাম বেড়েছে।
অন্যদিকে, শীতের সবজি শেষ হয়ে যাওয়ায় দাম বেড়েছে সবজি বাজারে। রাজধানীর কাওরানবাজারে অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে বেশ কিছু সবজি। প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা, ঢেড়স বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, পটল ৮০থেকে ১০০ টাকা, ঝিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা, কচুর লতিো বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা করে।
এ দিকে, আগের মতোই প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা আর প্রায় সব ধরনের আলুই বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২২ টাকায়। আর কাঁচামরিচ প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি গাজর ৩০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শালগম ২০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
আর বাজারে প্রতিটি বাঁধাকপি ও ফুলকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, লাউ প্রতিটি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, জালি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। প্রতি আঁটি কলমি ও লাল শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, লাউ শাক ৪০ টাকা, পালং শাক ১৫ টাকা এবং পুঁই শাক ২৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বিক্রেতাদের মতে, শীতের মৌসুম শেষ হওয়ায় পাইকারি বাজারে সব ধরনের সবজির সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। তাই এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। নতুন সবজির আমদানি বাড়লে দাম স্বাভাবিক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন ব্যবসায়ীরা। তাছাড়া মালামাল পরিবহনের খরচও বেড়েছে।
মিরপুরের শেওড়াপাড়া বাজারে রাবেয়া খানম নামে এক নারী ক্রেতা বলেন, নতুন সবজিতে একটা আগ্রহ থাকে। কিন্তু নতুন প্রায় সব সবজিরই দাম বেশি। তাই কম কম করে কিনতে হচ্ছে।
এছাড়া চাল, ডাল, তেল, মাছ, মাংস ও ডিমের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। এ সব পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় দাম অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন