আমদানী শুল্ক বাড়ানোসহ ১১ দফা দাবি দুগ্ধ খামারিদের
প্রকাশিত : ২২:১৮, ৬ মে ২০১৯

২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে নিম্নমানের ভর্তুকিপ্রাপ্ত গুড়া দুধের উপর এন্টি ডাম্পিং ট্যাক্স আরোপ ও আমদানী শুল্ক বাড়িয়ে ৫০ শতাংশে উন্নীত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ডেইরী ফার্মার্স এসোসিয়েশন।
এছাড়াও বিগত ১৫ বছরে মুদ্রাস্ফীতির সাথে সমন্বয় করে খামারিদের তরল দুধের ন্যায্য দাম সরকার থেকে নিশ্চিত করা এবং সঠিক বাজারজাত ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করাসহ ১১টি দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরে লিখিত বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি ইমরান হোসেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন,সংগঠনের সাধারন সম্পাদক শাহ এমরান,মিল্কভিটার এজিএম মোস্তাফিজুর রহমান, জাতীয় উেইরী উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি উম্মে কুলসুম সিনথি, বাংলাদেশ ডেইরী ফার্মার্স এসোসিয়েশন সহ-সভাপতি আলী আজম রহমান শিবলী ও যুগ্মসাধারণ সম্পাদক নাজিব উল্লাহ প্রমুখ।
আসন্ন বাজেটকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স এসোসিয়েশনের ১১ দফা দাবির মধ্যে আরো রয়েছে, দুগ্ধ প্রসেসিং কোম্পানিদের সাথে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত দামে তরল দুধের দাম সমন্বয় সাধন, এলাকাভিত্তিক খামারিদের দুধ সংরক্ষন ব্যবস্থাপনা তৈরী করা, ভোক্তাদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সরকার থেকে দ্বায়িত্ব নিয়ে সচেতনতামূলক টিভিসি প্রোগ্রাম করা, গো-খাদ্য আমদানীতে সকল শুল্ক প্রত্যাহার করা, আধুনিক খামার ভিত্তিক সকল বৈদেশিক যন্ত্রপাতি আমদানীতে সকল শুল্ক প্রত্যাহার করা, বানিজ্যিক নয় বরং কৃষির আওতায় দুগ্ধ খামারের বিদ্যুৎ ও পানির বিল আনা, পোল্ট্রি ও মৎস শিল্পের মত দুগ্ধ খামারিদের আগামী ২০ বছরের জন্য আয়কর মুক্ত বা ট্যাক্স হলিডে দেয়া এবং স্বল্প সুদে খামারিদেও ঋণ বিতরণ।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, দুগ্ধ খামার ব্যবসা বাংলাদেশে কৃষি ব্যবসার অনেকগুলো ব্যবসার মধ্যে অন্যতম। দেশে মোট জিডিপি এর ১৯ শতাংশ আসে কৃষি থেকে। বিগত ৭ বছরে দেশে দুগ্ধ খামারের সংখ্যা (রেজিষ্টার্ড এবং আনরেজিষ্টার্ড) বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১২ লক্ষ, দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৮ সনে হয়েছে ৯৪ লক্ষ মেট্রিক টন, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষাভাবে দুগ্ধ খামার ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত প্রায় ৯৪ লাখ মানুষ। দেশীয় দুগ্ধ শিল্পের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হলে এই দেশের কৃষিখাতও ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
এনএম/কেআই
আরও পড়ুন